নতুন মৌসুমের ধনিয়া বাজারে,কমেছে দাম

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৯-০৪-০৭ ১০:৪৪:৪৭


দেশের বাজারে মার্চ মাসের শুরু থেকে নতুন মৌসুমের ধনিয়া উঠতে শুরু করেছে। এর প্রভাব পড়েছে পণ্যটির দামে। দেশে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে বাড়তি সরবরাহের জের ধরে ধনিয়ার দাম কমতে শুরু করেছে। গত এক মাসের ব্যবধানে পাইকারি পর্যায়ে মসলা পণ্যটির দাম কেজিতে সর্বোচ্চ ১৫ টাকা কমে গেছে বলে জানান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

দেশে ফরিদপুর ও কুমিল্লায় সবচেয়ে বেশি ধনিয়া উৎপাদন হয়। এবার এ দুই জেলায় মসলা পণ্যটির বাম্পার ফলন হয়েছে। মার্চের শুরু থেকে স্থানীয় কৃষকরা উৎপাদিত ধনিয়া বাজারে পাঠাতে শুরু করেছেন। বর্তমানে খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজারে ফরিদপুর ও কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন ২০-২৫ ট্রাক ধনিয়া আসছে। প্রতি টাকে সরবরাহ করা হচ্ছে ১৫ টন ধনিয়া। নতুন মৌসুমে ধনিয়ায় বাজার সয়লাব হওয়ায় মসলা পণ্যটির দামও কমে গেছে।

খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজারে মসলার মোকামগুলো ঘুরে প্রতি কেজি ধনিয়া মানভেদে ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। এক মাস আগেও ৭০-৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সে হিসাবে, এক মাসের ব্যবধানে দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজারে ধনিয়ার দাম কেজিপ্রতি মানভেদে ১০-১৫ টাকা কমেছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ২০১৮ সালের বড় অংশজুড়ে দেশের বাজারে ধনিয়ার দাম তুলনামূলক স্থিতিশীল ছিল। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মসলা পণ্যটির বাজারে একই চিত্র দেখা গেছে। এ সময় পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি ধনিয়ার দাম মানভেদে ৭০-৯০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করেছে। তবে নতুন মৌসুমের ধনিয়া সরবরাহ শুরুর পর দাম কেজিপ্রতি ৬০ টাকায় নেমে এসেছে। সরবরাহ বাড়তি থাকায় আসছে রমজানেও পাইকারি বাজারে ধনিয়ার দাম কমতির দিকেই থাকতে পারে।

এ বিষয়ে খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজারের মসলা ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন  বলেন, খাতুনগঞ্জের আড়তগুলোয় গত মৌসুমের ধনিয়া এখনো মজুদ রয়েছে। নতুন মৌসুম শুরুর আগে অনেক ব্যবসায়ীই মোকাম খালি করতে পারেননি। এর মধ্যে মার্চের শুরুর দিকে স্থানীয় মোকামগুলোয় নতুন মৌসুমের ধনিয়া আসতে শুরু করেছে। ফলে মোকামগুলোয় বিপুল পরিমাণ ধনিয়ার মজুদ গড়ে উঠেছে। উৎপাদনকারী অঞ্চলগুলোয় বাম্পার ফলন ও পাইকারি মোকামে বিপুল মজুদের কারণে মসলা পণ্যটির বাজারে মন্দাভাব নেমে এসেছে। গত এক মাসের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে দুই দফায় ধনিয়ার দাম কেজিতে সর্বোচ্চ ১৫ টাকা কমে গেছে।