পুঁজিবাজার থেকে প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে টাকা উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া কোম্পানি কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজের আইপিও আবেদন শেষ হবে আগামীকাল ৯ এপ্রিল। ৩১ মার্চ আইপিও আবেদন গ্রহন শুরু হয়। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজের আইপিও অনুমোদর দেয়।
জানা গেছে, আইপিওর মাধ্যমে বাজার থেকে কোম্পানিটি ২০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। কোম্পানিটিকে ১০ টাকা ইস্যু মূল্যের ২ কোটি সাধারণ শেয়ার আইপিও এর মাধ্যমে ইস্যু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত ২০ কোটি টাকা দিয়ে কোম্পানিটি প্লান্ট ও যন্ত্রপাতি ক্রয় ও স্থাপন, ভবন ও সিভিল ওয়ার্ক খাত, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ ও আইপিও খরচ বাবদ ব্যয় করবে।
উত্তোলিত ২০ কোটি টাকার মধ্যে ৬০ শতাংশ অর্থ ব্যবসা সম্প্রসারেণ ব্যয় করা হবে। কোম্পানিটি প্লান্ট মেশিনারিজে ব্যয় করবে সাড়ে ৬ কোটি টাকা। ভবন নির্মাণ, সিভিল ওয়ার্কসহ আনুষাঙ্গিক কাজে ব্যয় করবে সাড়ে ৫ কোটি টাকা। কোম্পানিটি সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকে ঋণ পরিশোধ করবে সাড়ে ৬ কোটি টাকা। আর আইপিও বাবদ খরচ করবে দেড় কোটি টাকা।
কোম্পানিটির চলমান প্রকল্পে উৎপাদন সক্ষমতার ৭৮.৮৩ (কপার বার) এবং ৫৪.৯৪ (কপার টিউব) শতাংশ ব্যবহার হচ্ছে। আইপিওর পর প্রথম বছরে এই সক্ষমতার ব্যবহার বেড়ে ৮১.৮২ (কপার বার) এবং ৬০ (কপার টিউব) শতাংশে উন্নীত হবে। দ্বিতীয় বছরে ৮৩.৬৪ (কপার বার) এবং ৫৬ (কপার টিউব) শতাংশে এবং তৃতীয় বছরে ৮৫ (কপার বার) এবং ৬৫ (কপার টিউব) শতাংশে উন্নীত হবে।
কোম্পানিটি ২০১২ সালের ১৬ অক্টোবর একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করে। ২০১৮ সালের ৩১ মে কোম্পানিটি পাবলিক লিমিটেডে রূপান্তর হয়। আর ২০১৪ সালের জুন মাসে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে। কোম্পানিটি মূলত কপার বার, কপার রড, কপার স্ট্রিপ, কপার ওয়ার, কপার পাইপ এবং কপার টিউব উৎপাদন করে। যা দেশীয় মার্কেটে বিক্রয় হয়।
৩১ জুন, ২০১৮ সমাপ্ত সময়ের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রকৃত সম্পদ মূল্য(এনএভি) হয়েছে ১২ টাকা ০৬ পয়সা। শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৬০ পয়সা।
উল্লেখ্য, কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে এমটিবি ক্যাপিটাল লিমিটেড।
সান বিডি/এসকেএস