রাশিয়ার অ্যাথলেটিকদের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ শক্তিবর্ধক ওষুধ গ্রহণের যে অভিযোগ উঠেছে- সরকার তার তদন্ত শুরু করবে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রুশ অ্যাথলেটিকদের বিরুদ্ধে শক্তিবর্ধক ওষুধ সেবনের বিষয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হওয়ার পর প্রথমবার এনিয়ে কথা বললেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
পুতিন বলেন, অ্যাথলেটদের নিষিদ্ধ শক্তিবর্ধক ওষুধ ব্যবহার বন্ধে কাজ করে এমন আন্তর্জাতিক সব প্রতিষ্ঠানকে রাশিয়া সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেবে।
তবে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে পুতিনের অবস্থান স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। পুতিনের মন্তব্যও পরিষ্কার নয়; শক্তিবর্ধক ওষুধ ব্যবহারের বিষয়ে রাশিয়া ক্রমেই নিজের আগের অবস্থান থেকে সরে আসছে।
৭২ ঘণ্টার মধ্যে উপযুক্ত কোনো জবাব দিতে না পারলে আগামী বছর রিওতে অনুষ্ঠিতব্য অলিম্পিক গেমসে অংশগ্রহণে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে-এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এর আগে রুশ খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে ডোপিংয়ের অভিযোগ তোলায়, ব্রিটেনের অ্যান্টি ডোপিং ব্যবস্থাকে ‘মূল্যহীন’ বলে মন্তব্য করেছিলেন দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী ভিতালি মুতকো। তার সেই মন্তব্যের সমালোচনা করেছে যুক্তরাজ্য সরকারের সংস্কৃতি, মিডিয়া এবং ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
যুক্তরাজ্যের সংস্কৃতি, মিডিয়া এবং ক্রীড়ার এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের অ্যান্টি ডোপিং আইন অনুযায়ী খেলোয়াড়দের ওপর কড়া নজরদারি করা হয় এবং নিয়মিত বিরতিতে ডোপিং টেস্ট দিতে হয় খেলোয়াড়দের। এ ধাপগুলো এড়িয়ে অ্যাথলেটরা কোনো টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারে না।
ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (ওয়াডা) গত সোমবার অভিযোগ তোলেছে, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় রুশ খেলোয়াড়েরা মাদক গ্রহণ করে যে প্রতারণা করেছে। এতে রাষ্ট্রের মদদ ছিল।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস