বুধবার সরকারি ছুটি শেষ। নাড়ির টানে এখন বাড়ি ফিরছে ঘরমুখো মানুষ। সকাল থেকেই রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশন ছিল মানুষের উপচেপড়া ভিড়। বৈরী আবহাওয়ার কারণে বেশ কয়েকটি ট্রেনের সিডিউলে বিপর্যয় ঘটে। ফলে কমলাপুর প্লাটফর্ম জনস্রোতে রুপ নেয়।
বৈরী আবহাওয়া আর অধিক যাত্রী উঠা নামার কারণে আজ ট্রেন ছাড়তে বিলম্ব হয়। অনেক যাত্রীকে ঝুঁকি নিয়েই ট্রেনের ছাদে চড়ে রওনা হচ্ছে। বিমানবন্দর স্টেশনেও দেখা গেছে ভিড়। যাত্রীদের চাপ সামাল দিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরও হিমশিম খেতে হয়েছে। রাজশাহীর ধূমকেতু এক্সপ্রেস ৩ ঘণ্টা দেরি করলেও সকাল ১০টা পর্যন্ত আরও ১৯টি ট্রেন মোটামুটি ঠিক সময়েই কমলাপুর ছেড়ে গেছে।
স্টেশন মাস্টার সিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, অতিরিক্ত চাপের কারণে একটি ট্রেন বিলম্বিত হয়েছে। সামনে কোনো সিডিউল বিপর্যয় হবে না। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকালের ভাগে মোটামুটি স্বস্তি নিয়েই ট্রেনে চড়ে যাত্রা শুরু করতে পেরেছেন তারা। দুপুরে পর থেকে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়তে থাকে।
এদিকে আজ বুধবার থেকে রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিরহাট স্টেশন থেকে ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে যাত্রীদের অভিযোগ তদবির ছাড়া ফিরতি টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। আজ দেয়া হচ্ছে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বরের টিকিট। কাল বৃহস্পতিবার দেয়া হবে ২৮ সেপ্টেম্বরের টিকিট।
ঈদের দিন বন্ধ থাকবে। ২৬ সেপ্টেম্বর হবে ২৯ সেপ্টেম্বরের, ২৭ সেপ্টেম্বর ৩০ সেপ্টেম্বরের ও ২৮ সেপ্টেম্বর দেয়া হবে আগামী ১ অক্টোবরের টিকিট।