প্রতি মণ খেসারি ডালের দাম বাড়ল ৫৫০ টাকা

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৯-০৪-৩০ ১৬:২৮:৫১


এসময় দেশব্যাপী খেসারি ডালের ভরা মৌসুম চলছে। বিভিন্ন এলাকায় উৎপাদনও হয়েছে পর্যাপ্ত। এর পরও বাজারে পণ্যটির দাম বাড়তে শুরু করেছে। ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে এক মাসের ব্যবধানে প্রতি মণ (৩৭ দশমিক ৩২ কেজি) খেসারি ডালের দাম ৫৫০ টাকা বেড়েছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, চলতি ভরা মৌসুমে খেসারির চাহিদা বাড়তির দিকে। আসন্ন রোজার সময় তা আরো বাড়তে পারে। তবে বাড়তি চাহিদার বিপরীতে মোকামগুলো থেকে পর্যাপ্ত খেসারি সরবরাহ না হওয়ায় পাইকারি বাজারে পণ্যটির দাম বেড়েছে।

খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত মাসের শেষ দিকেও পাইকারি বাজারে প্রতি মণ খেসারি মানভেদে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। বর্তমানে পণ্যটি মণপ্রতি ২ হাজার ৫০ টাকা থেকে ২ হাজার ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ এক মাসের কম সময়ের ব্যবধানে খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে প্রতি মণ খেসারির দাম ৫৫০ টাকা বেড়েছে।

এদিকে পাইকারি পর্যায়ে বাড়তি দামের প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। গতকাল চট্টগ্রাম শহরের বাজার ঘুরে প্রতি কেজি খেসারি মানভেদে ৬৪-৬৬ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। এক মাস আগে পণ্যটি ৪৪-৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সেই হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে পণ্যটির দাম কেজিতে ২০-২১ টাকা বেড়েছে।

নিজস্ব উৎপাদন থেকেই দেশে খেসারির চাহিদার প্রায় পুরোটাই পূরণ করা হয়। রাজশাহীর বানেশ্বর, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ও মিরসরাই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি খেসারি উৎপাদন হয়। পরে এসব ডাল ট্রাকে খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজারে সরবরাহ করা হয়। মার্চের প্রথম দিকে মৌসুম শুরু হওয়ায় পাইকারি আড়ত ও মোকামে এ ডালের সরবরাহ পর্যাপ্ত ছিল। তবে মার্চের মাঝামাঝি সময়ের পর থেকে মোকামগুলো বাজারে খেসারির সরবরাহ কমিয়ে দেয়। ভরা মৌসুমে এর সরবরাহ তুলনামূলক কম থাকার যৌক্তিক কোনো কারণ দেখছেন না খাতুনগঞ্জের ডাল ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে, মোকাম মালিকরা সমন্বিত সিন্ডিকেটের আওতায় বাজারে পণ্যটির সরবরাহ কমিয়ে রেখেছেন। সরবরাহ সংকটের অজুহাতে বাড়তি দামে খেসারি বিক্রি করার মধ্য দিয়ে অতিরিক্ত মুনাফা করাই তাদের লক্ষ্য।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম ডাল মিল মালিক সমিতির সভাপতি আহমেদ রশিদআমু বলেন, বর্তমানে খেসারি ডালের ভরা মৌসুম চলছে। প্রতি বছর এ সময়ে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ও রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকার মোকাম থেকে খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে ৮-১০ ট্রাক খেসারি সরবরাহ করা হয়। তবে এবার ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। ভরা মৌসুম চললেও মোকামগুলো থেকে পাইকারি বাজারে খেসারির সরবরাহ দৈনিক দুই থেকে তিন ট্রাকে নেমে এসেছে।  সরবরাহ দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে না এলে আগামী দিনগুলোয় পণ্যটির দাম আরো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।