সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বাংলাদেশের বাজারে চালু হতে যাচ্ছে স্বল্প ও মাঝারি মূলধনী কোম্পানির লেনদেন। এই বাজারটি আমাদের এখানে নতুন হওয়ায় অনেক বিনিয়োগকারী স্বল্প ও মাঝারি মূলধনী বাজারের বিষয়ে সানবিডির কাছে জানতে চেয়েছে। পাঠকের জানার জন্য এ বিষয়টি তুলে ধরা হলো-
পুঁজিবাজারের পণ্য বহুমূখী করার অংশ হিসেবে ২০১৫ সাল থেকে স্বল্প ও মাঝারি মূলধনী কোম্পানির লেনদেন চালু করার উদ্যোগ নেয় বিএসইসি। পরে এই বাজার প্রতিষ্ঠা করার জন্য আইন করে বিএসইসি। যা গত মঙ্গলবার (৩০মার্চ,১৯) রাজধানীর প্যানপেসিফিক সোনার গাঁ হোটেলে এর উদ্বোধন করবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এমপি, এফসিএ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেন। অনষ্ঠানে সভাপত্বি করবেন ডিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল হাশেম।
স্বল্প ও মাঝারি মূলধনী কোম্পানির লেনদেন হবে এখানে। এর আগে বিএসইসির ৬৪২ তম কমিশন সভায় এ আইনটির চুড়ান্ত অনুমোদন দেয় কমিশন।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, এই বাজারের জন্য ইতোমধ্যে দেশী-বিদেশী ১০টির মতো কোম্পানি আবেদন করেছে। আগামীকাল অর্থমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর কোম্পানিগুলোর সাথে সাইনিং করা হবে।
এর আগে ২০১৬ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি স্বল্প মূলধনি কোম্পানির জন্য ‘স্মল ক্যাপ বোর্ড’ নামে নতুন বাজার গঠনের অনুমোদন দেয় বিএসইসি।
বিএসইসির ওই অনুমোদন অনুযায়ী, স্বল্পমূলধনি কোম্পানি তালিকাভুক্তির জন্য কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারের মাধ্যমে পুঁজি উত্তোলন করতে হবে। আর এসব কোম্পানির শেয়ার শুধু কোয়ালিফাইড ইনভেস্টররা লেনদেন করতে পারবেন। এরই অংশ হিসেবে কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফার নীতিমালার খসড়া অনুমোদন দেয় বিএসইসি।
স্বল্পমূলধনি কোম্পানির বৈশিষ্ট্য: কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর বলতে বিনিয়োগসংক্রান্ত সম্যক ধারণা রয়েছে এমন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ নিট সম্পদধারী ব্যক্তিদের বোঝাবে। কোয়ালিফাইড ইনভেস্টরদের জন্য সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) ভিন্ন ধরনের বিও হিসাব প্রণয়ন করবে।
স্বল্প মূলধনি প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন কমপক্ষে পাঁচ কোটি টাকা থাকতে হবে। আর তালিকাভুক্তির পর পরিশোধিত মূলধন কমপক্ষে ১০ কোটি টাকায় উন্নীত করতে হবে। তবে সর্বোচ্চ পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকার নিচে থাকতে হবে।
এ বাজারে ডাইরেক্ট লিস্টিংয়ের মাধ্যমে কোনো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে পারবে না এবং শেয়ারধারীদের শেয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত লক-ইন থাকবে। এ বাজারের কোম্পানিগুলোর শেয়ার কাগুজে শেয়ার হতে পারবে না। শেয়ার লেনদেন হবে ইলেকট্রনিক ট্রেডিং প্লাটফর্মে এবং লেনদেন নিষ্পত্তির সময় হবে স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বাজারের মতো। আর শেয়ার লেনদেন হবে স্টক ব্রোকারদের মাধ্যমে।