ঘূর্ণিঝড় ‘ফনি’ আতঙ্কে বোরো চাষীরা

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৯-০৫-০৩ ১০:৩৯:০৫


বিস্তৃণ মাঠ জুড়ে ছেয়ে আছে পাকা বোরো ধানে। প্রায় ৭০ শতাংশ জমির বোরো ধানে পাক ধরেছে। যার জন্য আংশিক জমিতে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। আর মাত্র কয়েক দিন পরেই শুরু হবে পুরো দমে ধান কাটা ও মাড়াই উৎসব। কৃষকের কষ্টার্জিত ফসল ঘরে তোলা নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে ব্যস্ততা।

তবে প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে বঙ্গোপসাগরে উৎপত্তি হওয়া  ঘূর্ণিঝড় ‘ফনি’। প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের উড়িষ্যা উপকূলে আঘাত হেনে কলকাতার ওপর দিয়ে বাংলাদেশের দিকে ধাবিত হতে পারে। এমন আশঙ্কায় কাশিয়ানী উপজেলার বোরোচাষিদের কপালে পড়েছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ।

সারা দিন প্রচণ্ড গরম শেষে শুক্রবার ভোরে হঠাৎ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এতে কাশিয়ানী উপজেলার কৃষকদের আতঙ্ক আরও বেড়ে গেছে। এমন অবস্থায় ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে ১৩ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে।

উপজেলার শিল্টা গ্রামের কৃষক সাকায়েত হোসেন বলেন, ‘আমার ১০ বিঘা জমির পুরো ধান পেকে গেছে। কিন্তু কৃষাণের অভাবে ঘূর্ণিঝড়ের আগে কাটতে পারছি না। ধান নিয়ে চরম আতঙ্কে আছি, জানি না কি হবে। সব আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছি।’

উপজেলার জোতকুরা গ্রামের কৃষক মো. মোসলেম মোল্যা বলেন, ‘১০ জন ধান কাটা কৃষাণ নিয়েছি। কিন্তু ভোর থেকে আকাশে মেঘ দেখা যাচ্ছে এবং গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হচ্ছে। আল্লাহই জানে ঠিকমতো ধান কাটতে পারব কিনা। শুনেছি সিডরের চেয়েও ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় হবে। তাই পাকা ধান নিয়ে চিন্তায় আছি।’

কাশিয়ানী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রসময় মণ্ডল বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ঘূর্ণিঝড় ফনির কারণে ৮০ শতাংশ পাকা বোরো ধান কাটতে এবং ভুট্টা, চীনা বাদামসহ পরিপক্ব সব ফসল ঘরে তুলতে কৃষকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমরা উপজেলার সব ইউনিয়ন সুপারভাইজারদের মাধ্যমে কৃষকদের বিষয়টি জানিয়েছি।