রাজধানীর উত্তরার আজমপুর এলাকার শাহাবউদ্দিন কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। একই বাজারে প্রতি কেজি আদা ও আমদানি করা রসুনের দাম ১২০ টাকা। দেশি পেঁয়াজ ৩০ টাকা এবং আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা দরে। এই একই পণ্যগুলো উত্তরার বিজিবি কাঁচাবাজারে কেজিপ্রতি কমপক্ষে পাঁচ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। সবজি ও মাছের ক্ষেত্রেও দুই বাজারে দামের ব্যবধান বেশ। তবে মাংসের দামে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র।
শাহাবউদ্দিন কাঁচাবাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা কেজি। কিন্তু বিজিবি কাঁচাবাজারে তা মিলছে ৫২৫ থেকে ৫৩০ টাকায়।
ভোক্তাদের অভিযোগ, সিটি করপোরেশন মাংস এবং অন্যান্য পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিলেও কোনো সংস্থাই ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে না শাহাবউদ্দিন বাজারে। তাই ঢাকার অন্যান্য বাজারে মাংসের দামে শৃঙ্খলা এলেও নজরদারির বাইরে থাকা বাজারগুলোয় এখনো মাংসের দাম বেশি। আর আবাসিক এলাকা হওয়ার কারণে ভোক্তারা একটু বেশি দাম হলেও কাছের বাজার থেকে পণ্য কিনতে চায়। ফলে আবাসিক এলাকাসংলগ্ন বাজারে সবজি ও অন্যান্য পণ্যের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি।
সায়েম রেজা নামে একজন ভোক্তা বলেন, ‘সারা শহরে মাংসের দাম কমেছে। কিন্তু আজমপুরের দিকে অভিযান চালানো না হওয়ায় এখনো এখানে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা কেজি।’
সবজি ও অন্যান্য পণ্যের দাম বেশির কারণ জানতে চাইলে আশিকুর রহমান নামে বিজিবি কাঁচাবাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আজমপুরের দিকে দোকানিদের ভাড়া কম। কিন্তু এদিকে দোকানের ভাড়া বেশি। তাই একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ৪৩টি কাঁচাবাজার রয়েছে সংস্থাটির। শুধু এসব বাজারেই অভিযান পরিচালনা করে সিটি করপোরেশন। কিন্তু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে গড়ে তোলা বাজারে খুব একটা অভিযান পরিচালনা করা হয় না। ওই সব বাজারে দামের তালিকাও টানানো হয় না।