মা-বাবা হত্যায় তাদের কন্যা ঐশী রহমানকে ফাঁসির মুখেও দেখতে চান না তার নানি সুফিয়া বেগম। মেয়ে ও তার স্বামীর হত্যায় তিনি এতটাই কষ্ট পেয়েছেন যে, কোনোভাবেই অভিযুক্ত ঐশীকে নিজ চোখে দেখতে চান না। তিনি মনে করেন, ঐশীকে দেখলে তিনি ঠিক থাকতে পারবেন না; আরও অসুস্থ হয়ে পড়বেন।
ফাঁসির রায় হওয়ার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজবাড়ী জেলা শহরের বিনোদপুর কলেজপাড়ায় ঐশীর নানা বাড়িতে গিয়ে কথা হয় তার নানি সুফিয়া বেগমের সাথে। তিনি জানান, ঐশীর মা স্বপ্না রহমান ছিলেন তার বড় মেয়ে। ঐশী তার মা-বাবাকে হত্যা করে পুলিশের হাতে ধরা দেওয়ার পর থেকেই তিনি পুরোপুরি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঐশীর নানাও কয়েক বছর ধরেই অসুস্থ হয়ে ঘরে পড়ে আছেন। মেয়ে ও তার স্বামীর হত্যার পর তার অসুস্থতা আরও বেড়েছে। এখন তিনি চলাফেরাই করতে পারেন না।
স্বপ্নার মৃত্যুর পর ঢাকায় যাননি মা সুফিয়া বেগম। খোঁজ নেননি নাতনি ঐশীর। তবে তিনি নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখেন স্বপ্নার একমাত্র ছেলে ওহী রহমানের। সে এখন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে তার চাচা মশিউর রহমানের কাছে থাকে।
সুফিয়া বেগম মাঝেমধ্যেই ফোনে নাতি ওহী রহমানের সাথে কথা বলেন। তিনি জানান, নাতনি ঐশীর জন্য তার কোনো কষ্ট নেই। তবে তিনি কষ্ট পাচ্ছেন স্বপ্নার ছেলে ওহীর জন্য।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর চামেলীবাগে নিজের বাসা থেকে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরদিন গৃহকর্মী সুমিকে নিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করে ঐশী। ঐশী স্বীকার করে, সে তার বন্ধুর সহযোগিতায় মা-বাবাকে খুন করেছে। এই হত্যা মামলায় বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক সাঈদ আহমেদ ঐশীকে ডাবল মৃত্যুদণ্ড দেন।
সানবিডি/ঢাকা/রাআ