ভরা মৌসুমে চাল আমদানি করায় দেশের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৯-০৫-১৮ ১২:০৪:৩২
ধানের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে দেশের কৃষকরা যখন ক্ষেতেই পাকা ধানে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে ঠিক তখনই ভারত থেকে হাজার হাজার টন চাল আমদানি করা হচ্ছে।
এতে আমদানিকারক ও ভারতীয় কৃষকরা লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশের কৃষকরা। সরকারের মন্ত্রীরা যখন বিদেশে চাল রফতানির কথা বলছে ঠিক সে সময় হাজার হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানিকে অনেকে হাস্যকর বলছেন।
কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে সংকট না থাকা সত্ত্বেও চাল আমদানি করায় বাজারে ধানের দাম আরও কমে যাচ্ছে। মিল মালিকরা বলছেন, বিদেশ থেকে চাল আমদানির ফলে বাজারে এর ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। কমছে দেশি চালের দাম ও চাহিদা। আমদানি বন্ধ না হলে কৃষকরা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
দেশের অন্যতম বৃহৎ দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত দেড় মাসে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার মেট্রিক টন চাল। হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের মিডিয়া কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক প্রতাপ জানান, গত এপ্রিল মাসে ভারত থেকে চাল এসেছে ৯ হাজার ১৭৮ মেট্রিক টন। গত ১৫ মে পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে চাল এসেছে ৫ হাজার ২শ’ মেট্রিক টন।
তিনি জানান, দিনে গড়ে ৩শ’ মেট্রিক টন চাল ঢুকছে হিলি বন্দর দিয়ে। বেশির ভাগই সম্পা কাটারি চাল বলে জানান তিনি। কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে ধান উৎপাদন বাড়লেও ব্যাপক হারে চাল আমদানি হওয়ায় বাজারে ধানের দাম বাড়ছে না। চাল আমদানি করায় কৃষকরা তাদের ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। এতে কৃষকরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
উৎপাদন খরচ পড়েছে ১৮-১৯ হাজার টাকা। ধান হয়েছে ৩৪ মণ। এক বিঘা জমির ধান বিক্রি করে পেয়েছি ১৭ হাজার টাকা। এভাবে ধানে আমরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি।