চলতি মৌসুমে বিশ্বব্যাপী চাহিদার তুলনায় বাড়তি চিনি উৎপাদন হয়েছে। তবে উৎপাদন সীমিত হয়ে আসায় ঘাটতির মুখে পড়তে যাচ্ছে বৈশ্বিক চিনি খাত। ২০১৯-২০ মৌসুমে বৈশ্বিক চিনি সরবরাহে সম্ভাব্য ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে প্রায় সাড়ে ২৩ লাখ টনে। জার্মান পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ডাটাএগ্রোর পক্ষ থেকে এ সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে। খবর এগ্রিমানি ও বিজনেস রেকর্ডার।
প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট প্লিনিও নাসতারি জানান, ২০১৮-১৯ মৌসুমে বিশ্বব্যাপী চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত ৪ লাখ ৮ হাজার টন চিনি উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পরের মৌসুমেই বৈশ্বিক চিনি খাতে ঘাটতি দেখা দিতে পারে। ২০১৯-২০ মৌসুমে এ ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ২৩ লাখ ৪০ হাজার টনে। মূলত এশিয়ার শীর্ষ চিনি উৎপাদনকারী দেশগুলোয় উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার জের ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির এ ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
ভারত বিশ্বের শীর্ষ চিনি উৎপাদনকারী দেশ। প্রতিষ্ঠানটির এক নোটে বলা হয়েছে, চলতি মৌসুমে ভারতে সব মিলিয়ে ২ কোটি ৯১ লাখ টন চিনি উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। আগের মৌসুমে দেশটিতে রেকর্ড ৩ কোটি ৩২ লাখ টন চিনি উৎপাদন হয়েছিল। অর্থাৎ, এক বছরের ব্যবধানে ভারতে খাদ্যপণ্যটির উৎপাদন কমতে পারে ৪১ লাখ টন।
একই চিত্র দেখা যেতে পারে বিশ্বের চতুর্থ শীর্ষ চিনি উৎপাদনকারী দেশ থাইল্যান্ডেও। চলতি মৌসুমে দেশটিতে সব মিলিয়ে ১ কোটি ৩৫ লাখ টন চিনি উৎপাদন হতে পারে। এর আগের মৌসুমে থাইল্যান্ডে খাদ্যপণ্যটির উৎপাদন দাঁড়িয়েছিল ১ কোটি ৪৫ লাখ ৫০ হাজার টনে। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে দেশটিতে চিনি উৎপাদন কমতে পারে ১০ লাখ ৫০ হাজার টন।
তবে এশিয়ার বাইরের দেশগুলোয় বাড়তি চিনি উৎপাদনের সম্ভাবনা দেখছে ডাটাএগ্রো। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এবারের মৌসুমে ব্রাজিলের প্রধান চিনি উৎপাদনকারী মধ্য-দক্ষিণাঞ্চলে পণ্যটির উৎপাদন ২ কোটি ৬৫ লাখ টন থেকে বেড়ে ২ কোটি ৮০ লাখ টনে উন্নীত হতে পারে। একইভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোয় চিনির সম্মিলিত উৎপাদন দাঁড়াতে পারে ১ কোটি ৭৬ লাখ ৪০ হাজার টনে।