গত সাড়ে ৪ মাসে ৬৩ হাজার ৫৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৯-০৫-২৩ ১৪:২৩:৫১


রোজা ও ঈদ সামনে রেখে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বাড়িয়ে দেন। এবারো দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এ স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় সাড়ে ৬৩ হাজার টন পেঁয়াজ দেশে এসেছে। তবে এবার রোজায় চাহিদা বাড়লেও হিলির পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম খুব একটা বাড়েনি। এর পেছনে পর্যাপ্ত আমদানির পাশাপাশি দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের বাড়তি সরবরাহ চিহ্নিত করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা। তাদের মতে, আসন্ন ঈদের আগে হিলির পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম খুব একটা বাড়বে না।

হিলি স্থলবন্দর কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৬৫২টি ট্রাকে ১৫ হাজার ৩৪৮ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। পরের মাসে পণ্যটির আমদানির পরিমাণ দাঁড়ায় ১২ হাজার ৬৬ টনে। গত মার্চ ও এপ্রিলে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে যথাক্রমে ৪৭৪টি ট্রাকে ১২ হাজার ২৫২ টন ও ৫৫৮টি ট্রাকে ১৩ হাজার ৯৪৪ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। আর চলতি মাসে ২১ তারিখ পর্যন্ত হিলির আমদানিকারকরা ৯ হাজার ৯৮০ টন পেঁয়াজ আমদানি করেছেন। সেই হিসাবে ২০১৯ সালের শুরু থেকে ২১ মে পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সব মিলিয়ে ৬৩ হাজার ৫৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

স্থানীয় আমদানিকারকরা জানান, রোজা শুরুর আগে থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রতিদিন ১৫-১৮ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। আমদানি করা এসব পেঁয়াজের মধ্যে রয়েছে নাসিক ও ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ। এছাড়া ভারত থেকে সুখসাগর জাতের পেঁয়াজও আমদানি হচ্ছে।

গতকাল হিলি স্থলবন্দরের আড়তগুলো ঘুরে পাইকারি পর্যায়ে (ট্রাকসেল) আমদানি করা প্রতি কেজি পেঁয়াজ মানভেদে ১১-১২ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। রোজার শুরু থেকে এখানকার পাইকারি বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের দামে খুব একটা হ্রাস-বৃদ্ধি হয়নি। অন্যদিকে হিলির খুচরা বাজারে আমদানি করা প্রতি কেজি পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২২-২৫ টাকায়।