দেশে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে কয়েক মাস ধরে মসুর ডালের দামে মন্দাভাব বজায় ছিল। তবে এক সপ্তাহ ধরে পণ্যটির দাম বাড়তে শুরু করেছে। এ সময় আমদানি করা মসুর ডালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৬ টাকা। আর দেশে উৎপাদিত প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম বেড়েছে ১৪ টাকা। মূলত আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং দর আগের তুলনায় বেড়ে যাওয়া ও দেশের মোকামগুলো থেকে সরবরাহ তুলনামূলক কম থাকার জের ধরে পাইকারি বাজারে পণ্যটির দাম বাড়তে শুরু করেছে বলে জানান স্থানীয় আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা।
দেশের বাজারে অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা থেকে আমদানি করা মসুর ডাল সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। খাতুনগঞ্জ বাজারের পাইকারি আড়তগুলো ঘুরে অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি মসুর ডাল মানভেদে ৪৭-৪৯ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। এক সপ্তাহ আগেও পণ্যটি কেজিপ্রতি ৪৩-৪৪ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সেই হিসাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম বেড়েছে সর্বোচ্চ ৫ টাকা।
একই চিত্র দেখা গেছে কানাডা থেকে আমদানি করা মসুর ডালের ক্ষেত্রেও। পাইকারিতে এক সপ্তাহ আগেও পণ্যটি কেজিপ্রতি ৪১-৪৩ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। বর্তমানে কানাডা থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম দাঁড়িয়েছে ৪৭-৪৯ টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে কানাডা থেকে আমদানি করা মসুর ডালের দাম কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ৬ টাকা বেড়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, চলতি বছরের শুরুতে পাইকারি পর্যায়ে আমদানি করা মসুর ডালের দাম চাঙ্গা ছিল। ওই সময় অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা থেকে আমদানি করা এসব মসুর ডাল কেজিপ্রতি ৮০-৮৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। তবে ফেব্রুয়ারি নাগাদ আমদানি করা মসুর ডালের দাম কমতে শুরু করে। দরপতনের ধারাবাহিকতায় মে মাসের শুরুর দিকে তা কেজিপ্রতি ৪০-৪৫ টাকায় নেমে আসে। বর্তমানে আমদানি করা মসুর ডালের দাম নতুন করে বেড়ে কেজিপ্রতি ৫০ টাকার কাছাকাছি পৌঁছেছে।
খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজারে বাড়তে শুরু করেছে দেশে উৎপাদিত মসুর ডালের দামও। গতকাল স্থানীয় বাজারে দেশে উৎপাদিত মসুর ডাল মানভেদে ১০০-১০৬ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। এর মধ্যে ভালো মানের দেশী মসুর ডাল ১০৫-১০৬ ও মাঝারি মানের মসুর ডাল ১০০-১০২ টাকায় বিক্রি হয়। এক সপ্তাহ আগেও দেশে উৎপাদিত এসব মসুর ডাল ৯০-৯২ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সেই হিসাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশে উৎপাদিত মসুর ডালের দাম কেজিতে সর্বোচ্চ ১৪ টাকা বেড়েছে।