আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার নাটোর জেলায় লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। এরই মধ্যে বাজারে এসেছে দেশী জাতের লিচু। মৌসুমের শুরুতে ভালো দাম পাচ্ছেন বাগানিরা। আর লিচু কিনতে নাটোরের হাটগুলোতে ভিড় বাড়ছে দুর-দূরান্তের ব্যবসায়ীরা।
গাছে গাছে লাল টসটসে লিচু, সাথে মিষ্টি গন্ধ। কোনো বাগানে মাদ্রাজি, চায়না, বোম্বে আবার কোনটিতে বেদেনা, কাঁঠালি, হাড়িয়াসহ দেশী জাতের সুমিষ্ট লিচু। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আকারে বড়, থোকা থোকা লিচুর ভারে গাছের ডাল নুইয়ে মাটি ছুঁইছুঁই অবস্থা।
বাগান মালিকরা বলছেন, অন্য বছরের তুলনায় এবার লিচুর উৎপাদন অনেক বেশি হয়েছে। প্রতিদিন ব্যাপারীদের কাছে লিচু বিক্রি করা হচ্ছে।
জ্যৈষ্ঠের শুরুতে গাছ থেকে চাষিরা নামাচ্ছেন দেশী আটি জাতের লিচু। চলতি সপ্তাহে নামাবে বোম্বাই, হাড়িয়াসহ অন্যান্য জাত। লিচু কেনাবেচা শুরু হওয়ায় জমে উঠতে শুরু করেছে নাটোরের বাজার ও আড়তগুলো। সেখানে ভিড় করছেন বিভিন্ন অঞ্চলের ফলের পাইকার ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখানে চাঁদাবাজি না হওয়ায় ব্যবসা করে শান্তি পান তারা। ঢাকা, বগুড়া, চট্টগ্রাম, নওগাঁ ও যশোর থেকে ব্যাপারী আসেন। এবছর লিচুর মান ভালো হওয়ায় তাদের প্রত্যাশা বাণিজ্য হবে প্রায় দেড়শত কোটি টাকারও বেশি।
কৃষি অফিসের দেয়া তথ্য মতে চলতি বছর নাটোরে ৭৪৭ হেক্টর লিচুর বাগান থেকে ৬ হাজার টন লিচু উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।