হঠাৎ নিস্ক্রিয় হয়ে যাওয়া ফেসবুক গ্রুপগুলো ফিরতে শুরু করেছে। তবে টেরোরিস্টদের ছবি আপলোডের ব্যাপারে গ্রুপ নিস্ক্রিয় হয়ে যাওয়া সেটা এখনো সংস্কার করেনি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
তাই ফেরত আসা গ্রুপগুলো ফেসবুকের পূর্ণ সংস্করণ না হওয়া পর্যন্ত আর্কাইভ করে রাখতে গ্রুপ এডমিনদের অনুরোধ করছে ক্রাইম রিচার্স অ্যানালাইসিস ফাউন্ডেশন (ক্রাফ)। আর যেসব একাউন্টস এডমিন থাকার কারণে নিস্ক্রিয় হয়েছিল সেগুলোও আপিল করার পর ফেরত দিচ্ছে ফেসবুক।
বন্ধ হয়ে যাওয়া দেশের শীর্ষ ফেসবুক গ্রুপ কোটা সংস্কার চাই, এভারগ্রীন বাংলাদশ, বাংলাদেশ গ্রে হ্যাট হ্যাকারস, আপওয়ার্ক বাংলাদেশ, সার্চ ইংলিশ, আওয়ার এভারগ্রীন বাংলাদেশ, ভাইরাল গ্রুপ বাংলাদেশ, ভয়েস অব রাইটস, প্রবাসী বাংলাদেশ, সোনার বাংলা, সবুজ শাড়ি লাল টিপ, ছেলে ভিএস মেয়ে, আমাদের খুলনা- ওয়ার্ল্ড ইন বাংলাদেশ, উই আর বাংলাদেশ, ক্রিকেটখোর, ইনফিনিটি অব এন্টারটেইনমেন্ট গ্রুপগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই ফেরত এসেছে।
এই ব্যাপারে অনলাইন সেবা প্রদানকারী অন্যতম প্রতিষ্ঠান ডন্স টিম ডিটির বিভাগীয় প্রধান এইচ আর সোহাগ বলেন, ফেসবুক কমিউনিটি গাইডলাইনের অন্যতম একটি ত্রুটি ছিল বলে এসব গ্রুপ নিস্ক্রিয় হয়ে গিয়ে ছিল। এমন ঘটনা আগেও হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
সোহাগ বলছেন, এসব কারণে কিছু সুবিধাবাদী গোষ্ঠী সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিস্ক্রিয় করে দেয় অনেক জনপ্রিয় ফেসবুক গ্রুপ। তবে এই বিশাল নিস্ক্রিয়তার তার ব্যাপারে ফেসবুক অথরিটিকেও অবহিত করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় স্বয়ংক্রিয়ভাবেই নিস্ক্রিয় গ্রুপগুলো ফেরত দিচ্ছে ফেসবুক।
তবে যেসব কারণে ফেসবুক গ্রুপগুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছিল ঠিক একই কারণে এখনো গ্রুপ অ গ্রুপের এডমিনদের ফেসবুক ডিজেবল হয়ে যাওয়ার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। এ নীতিমালা ফেসবুক এখনো সংস্কার করেনি।
তাই ফেরত আসা গ্রুপ ও বর্তমান সচল গ্রুপগুলো ফেসবুকের পূর্ণ সংস্করণ না হওয়া পর্যন্ত আর্কাইভ করে রাখতে গ্রুপ এডমিনদের অনুরোধ করেছেন এইচ আর সোহাগ।
নিরাপদ সাইবার স্পেসের জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তাদানকারী প্রতিষ্ঠান ক্রাইম রিসার্চ অ্যানালাইসিস ফাউন্ডেশনের (ক্রাফ) মহাসচিব কাজী মিনহার মহসিন উদ্দিন বলেন, কমিউনিটি গাইডলাইন অনুসারে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, ধর্মীয় ইস্যুতে কঠোর হচ্ছে ফেসবুক।
তিনি বলেন, ফেসবুক নীতিমালা অনুযায়ী যেকোনো ধরনের অস্ত্রের ছবি, জঙ্গির ছবি, সন্ত্রাসীর ছবি, ধর্মীয় কোনো গোষ্ঠীকে হেয় করে ফেসবুক পোস্ট দিলে তার আইডি ও গ্রুপ বিপজ্জনক অবস্থায় চলে যাবে।
‘কোনো কোনো পোস্ট দেয়া মাত্রই ফেসবুক তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছে। আবার কোনোটা ফেসবুকের কাছে অন্য কেউ রিপোর্ট করলে ব্যবস্থা নিচ্ছে।’