প্রগৈতিহাসিক যুগ খেকে এদেশে চাষাবাদ করে আসছে কৃষকেরা । এমনকি সারা বিশ্বে রফতানি করা হতো এদেশের কৃষি পণ্য ।কৃষি পণ্য রফতানি দেশি হিসেবেও সুনাম রয়েছে বেশ । কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে কৃষকদের সাথে অন্যায় আচরন করা হযেছে এমন মন্তব্য করেছেন সিপিডি‘র ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ।
আজ মঙ্গলবার (১১জুন) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে স্টেট অফ দ্যা বাংলাদেশ ইকোনমি অ্যান্ড বাজেট চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি ।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ কার্ডধারী কৃষক রয়েছে যাদের বাদ দিয়ে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা চিন্তা করতে পারিনা । কিন্তু সাম্প্রতিককালে তাদের সাথে যে অন্যায় করা হয়েছে সেটা আমাদের নীতি নৈতিকতার পরিপন্থি ।আর এভাবে চলতে থাকলে কালের গর্বে এদেশ থেকে কৃষি পেশা এবং কৃষক উভয়ই হারিয়ে যাবে ।
তিনি বলেন, রফতানি খাত ৫ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দাবি করছে। এটা দিলে সরকারের বাড়তি ১৫ হাজার কোটি টাকার মতো ব্যয় হবে। ফলস্বরূপ রফতানি খাতে মোট ভর্তুকি দাঁড়াবে ২০ হাজার কোটি টাকার । তাই আমি কৃষককে ৯ হাজার কোটি টাকা দিতে কোনো সমস্যা দেখি না।
তিনি বলেন, তাদের এমন চরম দুর্বিসহ মুহুর্তে তারা সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা দাবি করতে পারে । আর আমরা সরকারের কাছে প্রত্যেক কৃষকের জন্য ৫ হাজার টাকা ভর্তুকি দেয়ার দাবি করছি ।
তিনি আরও বলেন, আসছে ২০১৯-২০ অর্থবাজেটে কৃষকদের প্রণোদনার বিষয়টি যেন নিশ্চিত করা হয় তার জন্য তিনি সরকারের কাছে জোর দাবি জানান ।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে ধানের দাম কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। যেখানে ১মন ধানের দাম ৩০০-৩৫০ টাকা সেখানে ১জন ধান কাটার মজুর কে দিতে হয় ৭০০ টাকা। ফলে উভয় ক্ষেত্রে একটি অসামঞ্জস্য সৃষ্টি হয়। এমনকি ধান ক্ষেতে আগুন দেয়ার মত ঘটনাও ঘটে। এর পর কৃষকের এমন দুর্বিসহ অবস্থা নজরে আসে সবার।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রিসার্চ ফেলো তৌফিক ইসলাম খান।
সানবিডি /এমএফইউ