পবিত্র ঈদ উল ফিতরের ছুটি শেষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। পর্যাপ্ত আমদানির জের ধরে এখানকার পাইকারি বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। ঈদের আগে যেখানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ১৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল, বর্তমানে তা ১২-১৩ টাকায় নেমে এসেছে।
হিলির পাইকারি বাজার ঘুরে ভারতের ইন্দোর ও নাসিক থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা যায়। বাজারে ভারতীয় সুখসাগর জাতের পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। ঈদের আগে পাইকারি পর্যায়ে (ট্রাকসেল) আমদানি করা এসব পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ১৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। ঈদের পর পণ্যটির দাম ৩ টাকা কমে কেজিপ্রতি ১২ টাকায় নেমে এসেছে।
ঈদের আগে বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা বাড়তি ছিল। এ সময় দেশীয় আমদানিকারকরা বাড়তি চাহিদার চাপ সামলাতে পণ্যটির আমদানি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। ঈদের আগে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে একদিনেই রেকর্ড ৭৪ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। ওই সময় প্রতিদিন ৩৫-৪০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হতো। ঈদের পর আমদানি কিছুটা কমে এলেও তা ২৫-৩০ ট্রাকের নিচে নামেনি। আসন্ন বর্ষার কথা মাথায় রেখে দেশীয় আমদানিকারকরা আগে থেকেই পণ্যটি আমদানি করে রাখছেন।
স্থানীয় পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, ঈদের সময় টানা আটদিন হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সব ধরনের পণ্য আমদানি-রফতানি বন্ধ ছিল। এ আটদিন দেশীয় আমদানিকারকরা কোনো পণ্য আমদানি করতে পারেননি। এ সময় বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের সরবরাহ অনেকটাই কমে গিয়েছিল।
তিনি জানান, গত রোববার আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরু হওয়ায় পণ্যটির সরবরাহ বেড়ে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। পাইকারি পর্যায়ে পেঁয়াজের কেজি ৩ টাকা কমে গেছে। বর্ষা মৌসুম পুরোপুরি শুরুর আগে আমদানি স্বাভাবিক থাকলে পেঁয়াজের দাম কমতির দিকে থাকতে পারে।