বিভিন্ন পণ্যে ভেজাল বিরোধী অভিযানে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পরীক্ষায় ৫২টি পণ্য নিম্নমানের পাওয়া যায়। যার মধ্যে ৪৩টি পণ্যের লাইসেন্স স্থগিত এবং ৯টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়। যেসব পণ্যের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছিল সেগুলোর নমুনা ফের সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে বিএসটিআই। এর মধ্যে ২৬টি পণ্যের মান ঠিকঠাক থাকায় লাইসেন্সের ওপর প্রদান করা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে বিএসটিআই। একটি প্রতিষ্ঠান (বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিঃ, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ) নমুনা (রূপচাঁদা ব্র্যান্ড সরিষার তেল) সরবরাহ করেনি বিধায় সেই পণ্যের লাইসেন্স স্থগিতাদেশ বহাল রয়েছে। পাশাপাশি ১৬টি প্রতিষ্ঠানের পণ্য আবারও নিম্নমানের পাওয়ায় সেসব পণ্যের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে লাইসেন্স বাতিল হওয়া ৯ প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে আগের সিদ্ধান্ত বহাল থাকল।
বিএসটিআইয়ের পরিচালক (প্রকৌ:) এস এম ইসহাক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। যে নিষিদ্ধ ১৬ পণ্য পুনঃ পরীক্ষায়ও নিম্নমান মিলেছে সেগুলো হলো মিষ্টি মেলার লাচ্ছা সেমাই, ডানকানসের ন্যাচারাল মিনারেল ওয়াটার, পুষ্টির সরিষার তেল, নুর স্পেশাল লবণ, দাদা সুপার লবণ, তিন তীর লবণ, মদিনা লবণ, তাজ লবণ, মোল্লা সল্ট লবণ, প্রাণের হলুদের গুঁড়া, প্রাণের লাচ্ছা সেমাই, জেদ্দা লাচ্ছা সেমাই, ড্যানিশের কারি পাউডার, ড্যানিশের হলুদের গুঁড়া, সান চিপস এবং অমৃত লাচ্ছা সেমাই।
যেসব পণ্যের লাইসেন্সের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে সেগুলো হলো দিঘী ড্রিংকিং ওয়াটার, আররা ড্রিংকিং ওয়াটার, এসিআই পিওর লবণ, এসিআই পিওর ধনে গুঁড়া, মধুমতি লবণ, ডুডলস নুডলস, প্রাণ কারি পাউডার, তীর সরিষার তেল, জিবি সরিষার তেল, ফ্রেশ হলুদের গুঁড়া, বাঘাবাড়ী স্পেশাল ঘি, মধুবন লাচ্ছা সেমাই, ওয়েল ফুড লাচ্ছা সেমাই, মিঠাই লাচ্ছা সেমাই, মধুফুল লাচ্ছা সেমাই, মেহেদী বিস্কুট, নিশিতা সুজি, মঞ্জিল হলুদের গুঁড়া, ডলফিন মরিচের গুঁড়া, ডলফিন হলুদের গুঁড়া, সূর্য মরিচের গুঁড়া, কিং ময়দা, গ্রিনল্যান্ডস মধু, রূপসা ফার্মেন্টেন্ড মিল্ক, শান হলুদের গুঁড়া ও মক্কা চানাচুর। উল্লেখ্য, বিএসটিআই কর্তৃক সম্প্রতি সার্ভেইল্যান্সের মাধ্যমে খোলাবাজার থেকে বিভিন্ন পণ্যের ৪০৬টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়।