আগামীকাল ১৩জুন বাজেট উপস্থান করা হবে । যদিও অর্থমন্ত্রীর আ হ ম মুস্তফা কামালের শারীরিক অসুস্থায় বাজেট উপস্থাপন নিয়ে যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিলো, তা কেটে গেছে। বর্তমানে তিনি পুরোপুরি সুস্থ রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেল ৩টায় তিনি জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন।
গতকাল মঙ্গলবার (১১ জুন) অর্থমন্ত্রী শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করায় রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চেকআপের জন্য যান। তার অসুস্থতার বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে বাজেট উপস্থাপন নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তৌহিদুল ইসলাম জানান, শারীরিকভাবে অর্থমন্ত্রী এখন পুরোপুরি সুস্থ। নিয়মিত চেকআপের জন্য রাজধানীর অ্যাপেলো হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। চেকআপ শেষে হাসপাতাল থেকে মঙ্গলবার রাতেই বাসায় ফিরেছেন।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, অর্থমন্ত্রী ইতোমধ্যে বাজেটের সব কিছু চূড়ান্ত করেছেন। অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি তার প্রথম বাজেট। এর আগে পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবে গত পাঁচ বছরের বাজেট তৈরির কাজে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে সহযোগিতা করছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে তিনি নিজেই পুরো বাজেট তৈরি করেছেন। অর্থমন্ত্রী তার জীবনের প্রথম বাজেটের শিরোনাম করেছেন ‘সমৃদ্ধির সোপানে বাংলাদেশ, সময় এখন আমাদের’। ইতিমধ্যেই বাজেটর সব ডকুমেন্ট ছাপা হয়ে গেছে। অর্থমন্ত্রীর ভাষায় এটি হচ্ছে স্মার্ট বাজেট।
জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার হবে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার। এর মধ্যে রাজস্ব ব্যয় ধরা হয়েছে তিন লাখ ১০ হাজার ২৬২ কোটি টাকা। উন্নয়ন ব্যয় (এডিপি) ধরা হয়েছে দুই লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি থাকছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা। আসন্ন ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে তিন লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে করবহির্ভূত আয় ধরা হয়েছে ৩৭ হাজার ৭১০ কোটি টাকা। বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৮ দশমিক ২০ শতাংশ। নতুন বছরে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে ধরে রাখার চেষ্টা করা হবে বলেও বাজেটে উল্লেখ থাকছে।
আসন্ন বাজেটে ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ সূত্র থেকে ঋণ নেওয়া হবে ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা বাবদ ঋণ নেওয়া হবে ৬৩ হাজার ৮৪৮ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থাপনা থেকে নেওয়া হবে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে নেওয়া হবে ২৭ হাজার কোটি টাকা।
সানবিডি/ এমএফইউ