আফ্রিকার দেশগুলোর সাথে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বাড়াতে চায় দেশের ব্যবসায়ীদের সংসদ এফবিসিসিআই। আফ্রিকার দেশগুলোতে তৈরি পোশাক ও কৃষিখাতে বাংলাদেশের বিনিয়োগ এবং তথ্যপ্রযুক্তিসহ অন্যান্য খাতগুলোতে বিদ্যমান বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণের বিষয়ে ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দ বিশেষ আগ্রহ সংগঠনটির। আজ বুধবার এফবিসিসিআই নেতৃবৃন্দ এবং ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি), তানজানিয়া প্রতিনিধিবৃন্দের সঙ্গে আলোচনায় এই আগ্রহের কথা জানানো হয়।
এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিমের সভাপতিত্বে এফবিসিসিআই সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এ আলোচনায় এফবিসিসিআই সহ-সভাপতিবৃন্দ এবং পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এনডিসি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন অ্যাম্বাসাডর পিটার কাল্লাঘে। প্রতিনিধিদলে চীন, তানজানিয়া, কেনিয়া, বতসোয়ানা, রুয়ান্ডা ও বুরুন্ডির প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সভাপতি দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, দ্রুত অগ্রসরমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ, বেসরকারি খাতের শীর্ষ সংগঠন হিসেবে বিভিন্ন নীতি প্রণয়নে সরকারের সাথে সংগঠনটির অংশীদারত্ব এবং দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সরকারি-বেসরকারি খাতের যৌথ উদ্যোগের বিষয়ে প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন। এর আগে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে সংগঠনের পরিচিতি, কার্যক্রম ও ভিশন তুলে ধরে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেয়া হয়।
প্রতিনিধিদলের সদস্যবৃন্দ দেশের অর্থনীতি, বিনিয়োগ পরিস্থিতি, বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুবিধাসমূহ, ব্যাংকিং খাত, ব্যাংক ঋণের সুদের হার এবং দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বাণিজ্যের বিভিন্ন দিক নিয়ে জানতে চান। এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম তাঁর বক্তব্যে জানান যে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং ক্রমবর্ধমান অগ্রগতিতে দেশের বেসরকারি খাতের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের বিভিন্ন নীতি প্রণয়নে দেশের বেসরকারি খাত বলিষ্ঠ অংশীদারত্বে কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।
শেখ ফাহিম বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভূক্ত দেশগুলোতে বাংলাদেশের পণ্যের শূল্কমূক্ত ও কোটামূক্ত রপ্তানি সুবিধা পাওয়া বিদেশি বিনিয়োগকারীদেও জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সরকারের আকর্ষণীয় বিনিয়োগ সুবিধা গ্রহণ করে অন্যান্য দেশের পাশাপাশি চীনের ৪০০-এর বেশি এবং জাপানের ২৭৯টি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ব্যবসা করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন যে, আফ্রিকার দেশগুলোতে তৈরি পোশাক, কৃষি এবং তথ্যপ্রযুক্তির পাশাপাশি বাংলাদেশের ইলেক্ট্রনিক্স, ভোগ্যপণ্য (ঋগঈএ) এবং হোম এ্যাপ্লায়েন্স সামগ্রী রপ্তানির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। দেশের আর্থিক খাতে সাম্প্রতিক কিছু অনিয়মের প্রসঙ্গে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন যে, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ, এবং সরকার ও বেসরকারি খাত সম্মিলিতভাবে এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে।