নতুন বছরের বাজেটে মোবাইল ফোন সেবার ওপর বিদ্যমান কর আরও বাড়তে যাচ্ছে। আগের ধারাবাহিকতায় এবারও বাড়ানো হচ্ছে সম্পূরক শুল্ক।
২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হবে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তৃতীয় সরকারের প্রথম বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছেন।
এবার ৫ লাখ কোটি টাকার বিশাল বাজেটের ব্যয় মেটাতে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা বাড়াতে সরকারের নানামুখী উদ্যোগের অংশ হিসেবে খড়গ পড়ছে মোবাইল ব্যয় ব্যবহারকারীদের ওপর।
আগের বাজেটের ধারাবাহিকতায় মোবাইল ফোন ব্যবহারে এবারও সম্পূরক শুল্ক বিদ্যমান ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বর্তমানে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার ছাড়া বাকি সব সেবার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট ছাড়াও ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং আরও ১ শতাংশ আছে সার্চচার্জ। এতে করে গ্রাহক পর্যায়ে কথা বলার ক্ষেত্রে সরাসরি কর রয়েছে ২২ শতাংশ। নতুন প্রস্তাব পাস হলে এ হার হবে ২৭ শতাংশ।
ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভ্যাট একটু কম হওয়ায় সেখানে মোট করের হার দাঁড়ায় ১৪ শতাংশ।মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর কর্মকর্তারা বলছেন, গত কয়েক বছর ধরে মোবাইল ফোনে কথা বলার ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে কর বাড়ানো হচ্ছে। কখনও মোবাইল সেবার ওপর আবার কখনও সরাসরি মোবাইল ফোন আমদানির ওপর। এতে সরকার প্রতিশ্রুত ডিজিটাইজেশনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্রগুলো বলছে, গত বছর বাজেট প্রস্তাবের সময় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেটের ভ্যাটের বিষয়ে কিছু না বলা হলেও পরে তা সাড়ে ৭ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। এতে সরকারের আয়ের ক্ষেত্রে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। ফলে এটি আগের মতো ১৫ শতাংশে ফিরে যেতে পারে বলেও জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করা হলে বিষয়টি সুস্পষ্ট হবে।