সু খবর বিনিয়োগকারীদের জন্য

তালিকাভুক্ত কোম্পানির রিজার্ভ সংরক্ষণে কঠিন অবস্থানে সরকার

সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০১৯-০৬-১৫ ১২:৫৮:৩২


পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানির রিজার্ভ সংরক্ষণে কঠিন অবস্থানে সরকার। কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশ নিয়ে শেয়ারহোল্ডারদের সঙ্গে পরিচালনা পর্ষদের প্রতারণা রোধে এ অবস্থানে সরকার। লভ্যাংশ কম দিয়ে রিজার্ভ সংরক্ষণ করলে তার উপর বাড়তি কর দিতে হবে কোম্পানিকে। আ জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ প্রস্তাব করেছেন।

বাজেট প্রস্তাবনায় অর্থমন্ত্রী বলেন, কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরা কোম্পানি থেকে নগদ লভ্যাংশ প্রাপ্তির প্রত্যাশা করে। নগদ লভ্যাংশ প্রদানের ফলে শেয়ারবাজারের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি ও শেয়ারবাজার শক্তিশালীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু নগদ এর পরিবর্তে বোনাস শেয়ার বিতরণের প্রবণতা কোম্পানিসমূহের মধ্যে লক্ষ করা যায়। এতে বিনিয়োগকারীরা তাদের প্রত্যাশিত লভ্যাংশ প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে বোনাস লভ্যাংশের উপর কোম্পানিগুলোর জন্য ১৫ শতাংশ কর প্রদানের প্রস্তাব করেছেন।

এদিকে কোম্পানির অর্জিত মুনাফা থেকে শেয়ারহোল্ডারদেরকে বঞ্চিত করে সংরক্ষিত আয় হিসাবে রেখে দেওয়ার প্রবণতা লক্ষ করা যায় বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। যা শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এ ধরনের প্রবণতা রোধে কোম্পানির কোনো আয় বছরে সংরক্ষিত আয়, রিজার্ভ ইত্যাদির সমষ্টি পরিশোধিত মূলধনের বেশি হলে, অতিরিক্ত অংশের উপর সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে ১৫ শতাংশ কর প্রদান করতে হবে।