আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মোট ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য জানান। এর আগে বিকেল ৩টায় একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশন শুরুর পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর অনুমোদনক্রমে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।
আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের আকার ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের চেয়ে আগামী বাজেট ১২ দশমিক ৬১ শতাংশ বড়। আগামী ৩০ জুন এই বাজেট পাস হবে।
প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আহরণের যে লক্ষ্যমাত্রা (৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা) ধরা হয়েছে তা দেশের মোট জিডিপির ১৩ দশমিক ১ শতাংশ। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নিয়ন্ত্রিত কর ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, এনবিআর-বহির্ভূত কর ১৪ হাজার ৫০০ কোটি, কর ব্যতীত প্রাপ্তি ৩৭ হাজার ৭১০ কোটি টাকা।
চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা, যেখানে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে অবশ্য আয়-ব্যয়ের হিসাব কিছুটা কমে আসে। সংশোধিত বাজেটের আকার ৪ লাখ ৪২ হাজার ৫৪১ কোটি টাকা, যেখানে রাজস্ব আয়ের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১৬ হাজার ৬১৩ কোটি টাকা।
আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা। ঘাটতি অর্থায়নে প্রস্তাবিত বাজেটে বৈদেশিক উৎস (অনুদানসহ) থেকে ৬৮ হাজার ১৬ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ উৎস হতে ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা সংগ্রহের কথা বলা হয়েছে।