‘সমৃদ্ধির সোপানে বাংলাদেশ, সময় এখন আমাদের’ শিরোনামে প্রস্তাবিত আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। বাজেটে তুলে ধরা হয়েছে পুঁজিবাজারের গুরুত্ব। সরকার মনে করে পুঁজিবাজারকে বাদ দিয়ে অর্থনীতি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই দেশের অর্থনীতির জন্যই পুঁজিবাজারকে বিকশিত করতে চায় সরকার।
এবারের বাজেটে পুঁজিবাজারে গভীরতা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বেশকিছু প্রস্তাব উস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এর মধ্যে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে প্রণোদনা স্কীম, তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশ আয়কে করমুক্ত রাখার প্রস্তাব করেছেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে তিনি এসব প্রস্তাব প্রদান করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, একটি শক্তিশালী অর্থনীতির জন্য প্রয়োজন একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার। এতটি দেশের অর্থনীতি যত শক্তিশালী সেই দেশের পুঁজিবাজারও স্বাভাবিক নিয়মেই শক্তিশালী থাকবে। আমার যেমন চাই আমাদের দেশের জন্য একটি শক্তিশীল অর্থনীতি। ঠিক তেমনিভাবেই আমরা দেখতে চাই একটি বিকশিত পুঁজিবাজার। শিল্প বিনিয়োগে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ সংগ্রহের আর্দশ মাধ্যম হচ্ছে পুঁজিবাজার। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক খাত হতে স্বল্পমেয়াদি আমানতের বিপরীতে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ প্রদানের প্রবণতা লক্ষ্যনীয়, যা পৃথিবীর অন্যান্য দেশে দেখা যায়না। আর তাতে চুড়ান্তভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক এবং ঋণ গ্রহীতারা। পুঁজিবাজার হতে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ সংগ্রহে ঋণগ্রহীতাদের উৎসাহ প্রদানে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে প্রণোদনা স্কীমের আওতায় ৮৫৬ কোটি টাকা আবর্তনশীল ভিত্তিতে পুন:ব্যবহার জন্য ছাড় করা হয়েছে।
আগ্রহী বিনিয়োগকারীদেরকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ পূর্বে বাজার সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা প্রদানের জণ্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। পুঁজিবাজারের পরিপালন নিশ্চিত করার জন্য নজরদারি জোরদার করা হবে।
তিরি আরো বলেন, এই বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য অনেক প্রণোদনা থাকছে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশ আয়কে করমুক্ত রাখার প্রস্তাব করেছেন। একইসঙ্গে তালিকাভুক্ত দেশী ও বিদেশীসহ সকল কোম্পানির শেয়ার থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশের উপর দ্বৈত কর পরিহারের ঘোষণা দিয়েছেন। আর শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার জন্য বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে কোন রুগ্ন কোম্পানিকে যদি কোন আর্থিক দিক থেকে সবল কোম্পানি আত্নীকরণ করতে চায় সেটা বিবেচনা করা যেতে পারে। প্রয়োজনে দর কষাকষির মাধ্যমে কিছুটা বিনিয়োগ সুবিধা দিয়ে হলেও এ কাজটা কার গেলে পুঁজিবাজারে অনেক শক্তিশালী অবস্থানে আসবে বলে আমরা মনে করি। এই প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজারের গভীরতা বাড়বে এবং স্থিতিশীলও থাকবে বলে আশা করছি।