বাজেট নিয়ে ডিএসই-সিএসর সংবাদ সম্মেলন কাল
সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০১৯-০৬-১৫ ১২:১৯:৫৩
২০১৯-২০ অর্থবছরের আনুষ্ঠানিকভাবে বাজেট প্রতিক্রিয়া দিতে সংবাদ সম্মেল ডেকেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। আগামীকাল রবিবার প্রতিষ্ঠান দুটি এ সংবাদ সম্মেলন করবে। এর মধ্যে সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে সিএসইর ঢাকা অফিসে এবং দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে ডিএসইর মতিঝিল অফিসে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
সূত্র মতে, সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠান দুটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। সংবাদ সম্মেলনে নতুন বাজেটে পুঁজিবাজারের পাওয়া না পাওয়ার বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে।
তবে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য বেশ কয়েকটি সখবর দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এর মধ্যে অন্যতম হলো বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশের উপর করমুক্ত সীমা বৃদ্ধি, বোনাস শেয়ারে নিরুৎসাহিত করা, লভ্যাংশ না দিয়ে টাকা জমা রাখার উপর বাড়তি কর আরোপ করা। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনে এ ঘোষণা দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘বিনিয়োগকারীরা শেয়ারে বিনিয়োগ করে নগদ লভ্যাংশের আশা করে। কিন্তু কোম্পানিগুলো নগদ লভ্যাংশ না দিয়ে বোনাস দিচ্ছে। এতে বিনিয়োগকারীরা প্রত্যাশিত প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হন; যার প্রভাব পড়ে পুঁজিবাজারে। তাই কোম্পানিকে বোনাস লভ্যাংশ না দিয়ে, যাতে নগদ লভ্যাংশ প্রদানে উৎসাহিত করার জন্য কোম্পানির বোনাস লভ্যাংশের উপর ১৫ শতাংশ কর প্রদানের প্রস্তাব করছি।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘অনেক প্রতিষ্ঠান শেয়ার হোল্ডারদের লভ্যাংশ না দিয়ে রিটেইনড আর্নিংস বা বিভিন্ন ধরনের রিজার্ভ হিসেবে রেখে দেয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এতে বিনিয়োগকারীরা লভ্যাংশ প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হন; যার প্রভাব পুঁজিবাজারে পড়ে। কোনো কোম্পানির আয় বছরে রিটেইনড আর্নিংস, রিজার্ভ ইত্যাদির সমষ্টি যদি পরিশোধিত মূলধনের ৫০ শতাংশের বেশি হয় তাহলে যতটুকু বেশি হবে তার ওপর কোম্পানিকে ১৫ শতাংশ কর দিতে হবে।’
ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের প্রণোদনার জন্য মন্ত্রী বলেন, ‘ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের হাতে পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানি থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ আয়ের করমুক্ত সীমা ২৫ হাজার থেকে বৃদ্ধি করে ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।’
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহী করতে তিনি বলেন, ‘নিবাসী কোম্পানি লভ্যাংশ আয়ের ওপর একাধিকবার করারোপ রোধ করার বিধান গতবছর কার্যকর করা হয়েছিল। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে উৎসাহী করার জন্য এ বছর নিবাসী ও অনিবাসী সব কোম্পানির ক্ষেত্রে এ বিধান কার্যকর করার প্রস্তাব করছি। ফলে নিবাসী কোম্পানির পাশাপাশি অনিবাসী কোম্পানির লভ্যাংশ আয়ের ওপর একাধিকবার করারোপ হবে না।’
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়। এটি ক্ষমতাসীন সরকারের চলতি মেয়াদের প্রথম এবং দেশের ৪৮তম বাজেট। নতুন অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি তার প্রথম বাজেট।