এবারের ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটের ঘাটতি পূরণে ব্যাংক খাতের উপর চাপ সৃষ্টি না করার আহবান জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।
শনিবার দুপুরে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট পরবর্তী আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহবান জানান।
তিনি বলেন, ব্যাংকখাতের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে নতুন বাজেটের ঘাটতি পূরণে বৈদেশিক উৎস থেকে অর্থ দেওয়া যেতে পারে। যদি সেখান থেকে না পারা যায় তবে বিভিন্ন ফিনান্সিয়াল ট্রুলসের উভর নির্ভর করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, যদি ব্যাংকের উপর নির্ভর করে বাজেটের ঘাটতি পূরণ করা হয় সেক্ষেপে ব্যক্তি বিনিয়োগে সমস্যা হতে পারে। এই সমস্যা জাতীয় অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে।
লিখিত বক্তব্যে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, ‘বাজেটে কৃষকের স্বার্থে শস্যবীমা চালু একটি প্রগতিশীল উদ্যোগ। বছরব্যাপী কৃষকের ফসলের ন্যায্যমূল্য ও সুষ্ঠু সাপ্লাই চেইন নিশ্চিত করতে স্থানীয় পর্যায়ে গুদাম নির্মাণ এবং উন্নয়নের উদ্যোগও সময়োপযোগী।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ২০২৪ সাল পর্যন্ত কর অবকাশ সুবিধা শিল্পখাতের বিকাশকে উৎসাহিত করবে। তৈরি পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে ১ শতাংশ প্রণোদনা প্রদান এবং হ্রাসকৃত করহার বহাল রাখার সিদ্ধান্ত রফতানি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিশেষ সহায়ক হবে।
লিখিত বক্তব্যে শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, ‘নতুন বাজেটে ঘাটতি পূরণে ব্যাংক খাতের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে বৈদেশিক উৎস, অবকাঠামো ফান্ড ও বন্ড এবং অন্যান্য ফিন্যান্সিয়াল টুলসের ওপর জোর দেয়ার অনুরোধ করছি।’
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘সরকার যদি বেশিমাত্রায় ব্যাংক থেকে ঋণ নেয় তাহলে এর প্রভাব বেসরকারি খাতে পড়বে। ব্যাংকিং খাতের ওপর থেকে চাপ কমাতে অন্যান্য উৎস থাকলে ভালো হয়।’
কালো টাকাবিষয়ক এক প্রশ্নের উত্তরে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘বাজেটে কালো টাকার কথা বলা নেই। সেখান অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের কথা বলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘২০২১ সালে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে যাবে৷ আমরা চাই ইনফরমাল ইকোনমি ফরমাল ইকোনমিতে আসুক। অপ্রদর্শিত অর্থের উৎস যেহেতু সঠিক আছে সেহেতু আমরা প্রস্তাবকে ওয়েলকাম জানাই।’
সংবাদ সম্মেলনে এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতা উপস্থিত ছিলেন।
সান বিডি/এসকেএস