বীমাখাতের দাবির প্রতিফলন ঘটেনি ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে। নতুন নতুন বীমা প্রকল্প চালুর কথা থাকলেও কমানো হয়নি এখাতের বিভিন্ন ভ্যাট ও ট্যাক্সের পরিমাণ। প্রতি বছরই প্রাক বাজেট আলোচনায় এসব দাবি উত্থাপন করে আসছে বীমাকারিদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন (বিআইএ) ।
বীমাখাতের উন্নয়নে সংগঠনটি এ বছর ৯টি প্রস্তাব করে। এগুলো হলো- পুনর্বীমা কমিশনের বিপরীতে ১৫ শতাংশ উৎসে মূল্য সংযোজন কর কর্তন সম্পর্কিত আইন সংশোধন। নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্তৃক গৃহিত স্বাস্থ্য বীমার উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফ। জীবন বীমা পলিসি হোল্ডারদের পলিসি বোনাসের উপর ৫ শতাংশ গেইন ট্যাক্স মওকুফ।
এ ছাড়াও বীমা এজেন্টদের উৎসে কর মওকুফ। পুনর্বীমা প্রিমিয়ামের উপর উৎসে কর রহিতকরণ। করপোরেট কর হার হ্রাসকরণ। কৃষি বীমার প্রিমিয়ামের উপর মূল্য সংযোজন কর ও করপোরেট কর হার রহিতকরণ। অনলাইন ভিত্তিক বীমার প্রিমিয়ামের উপর মূল্য সংযোজন কর রহিতকরণএবং নতুন সামাজিক পণ্য ট্যাক্স এবং ভ্যাট ছাড়।
বীমা মালিকদের এসব দাবির বিষয়ে সুস্পষ্ট কোন বক্তব্য না থাকলেও দেশের সাধারণ জনগণকে স্বাস্থ্যবীমার আওতায় আনাসহ নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধিতে দরিদ্র নারীদের জন্য ক্ষুদ্রবীমা, কৃষকদের রক্ষায় শস্য বীমা, গবাদিপশু বীমা, সরকারি কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবীমা চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে এবারের বাজেটে।
এ ছাড়াও সরকারি কর্মচারীদের গ্রুপ বীমার আওতায় আনতে বীমাখাতের বিদ্যমান ব্যবস্থা সংস্কার, প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য বীমা প্রকল্প চালু, বীমাখাতের উন্নয়নে ডিজিটাইজেশন ও পেনিট্রেশন বৃদ্ধি, কারখানা শ্রমিকদের দুর্ঘটনাজনিত বীমার বাস্তবায়ন, বৃহৎ প্রকল্পের মাধ্যমে সৃষ্ট সম্পদের বীমা দেশিয় বীমা কোম্পানির মাধ্যমে সম্পাদন ছাড়াও লস অব প্রফিট’র জন্য বীমা চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।