সরফরাজ আহমেদকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পরামর্শ দিয়েছিলেন টস জিতলে ব্যাটিং করার জন্য। কিন্তু ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের পরামর্শ না শুনে ভারতের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ।
রোববার ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে ভারত-পাকিস্তানের মহারণ শুরুর আগে টুইটবার্তায় ইমরান খান বলেন, পাকিস্তানকে জিততে হলে আগ্রাসী কৌশল নিতে হবে। আর সেজন্য যদি পিচ খুব খারাপ না হয় তাহলে টস জিতে প্রথমে সরফরাজদের ব্যাটিং নেওয়া উচিত।
কিন্তু ইমরান খানের মতো কিংবদন্তি ক্রিকেটারের পরামর্শ না শোনার মাশুল দিলেন সরফরাজরা।পাকিস্তানের বোলারদের তুলোধুনো করে সেঞ্চুরি করেন রোহিত শর্মার। অনবদ্য ব্যাটিং করে ১১৩ বলে ১৪০ রান করেন রোহিত। এছাড়া বিরাট কোহলি (৭৭) ও লোকেশ রাহুলের (৫৭) জোড়া ফিফটিতে ৩৩৬/৬ রানের পাহাড় গড়ে ভারত।
ভারতের বিপক্ষে ৩৩৭ রানের পাহাড় ডিঙাতে নেমে দলীয় ১৩ রানে ওপেনার ইমাম-উল হকের উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরপর ফখর জামান ও বাবর আজমের ১০৪ রানের অনবদ্য জুটিতে জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু করে পাকিস্তান।
এক উইকেটে ১১৭ রান করা পাকিস্তান এরপর মাত্র ১২ রানের ব্যবধানে বাবর আজম, ফখর জামান, মোহাম্মদ হাফিজ ও শোয়েব মালিকের উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে যায় পাকিস্তান।
পাকিস্তান শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন কুলদীপ যাদব। তার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন বাবর। তার আগে ৫৭ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৪৮ রান করেন তিনি। নিজের ঠিক পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যাওয়া ফখর জামানকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন কুলদীপ।
৭৫ বলে ৭টি চার ও এক ছক্কায় ৬২ রান করে ফেরেন ফখর জামান। এরপর হার্দিক পান্ডিয়ার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ছক্কায় ইনিংস শুরু করা মোহাম্মদ হাফিজ। ব্যাটিংয়ে নেমে কিছু বুঝে ওঠার আগেই পান্ডিয়ার বলে বোল্ড শোয়েব মালিক।
দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাড়তি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারেনননি পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। তিনি ফেরেন ৩০ বলে মাত্র ১২ রান করে।
এরপর পরাজয়ের ব্যবধান কমাতে ব্যাটিং করে যান ইমাদ ওয়াসিম ও শাদাব খান। ৩৫ ওভারের খেলা শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৬৬ রান। এমন অবস্থায় ফের বৃষ্টির বাগড়া।