দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে তিনদিনের ব্যবধানে আরেকদফা পেঁয়াজের পাইকারি (ট্রাকসেল) দাম বাড়লো কেজিতে তিন টাকা থেকে সাড়ে চার টাকা। তিন দিন আগেও প্রকারভেদে কেজিপ্রতি পেঁয়াজ ১৩ টাকা থেকে ১৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। তবে এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১৬ টাকা থেকে সাড়ে ১৮ টাকা কেজি দরে। পেঁয়াজ আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ এবং বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানির ওপর ভারত সরকার প্রণোদনা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় পেঁয়াজের দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।
হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদের ছুটি শেষে বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি শুরুর পর থেকেই বন্দর দিয়ে ২৫ থেকে ৩০ ট্রাক করে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। ঈদের আগে যা ৩৫ থেকে ৪০ ট্রাক করে পেঁয়াজ আমদানি হতো। সরেজমিন হিলি স্থলবন্দর ঘুরে দেখা গেছে, বন্দর দিয়ে আগে নাসিক, ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ আমদানি হলেও বর্তমানে শুধু ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক হারুন উর রশীদ হারুন ও পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম জানান, সম্প্রতি বাজারে দেশীয় জাতের পেঁয়াজের সরবরাহ আগের তুলনায় খানিকটা কমে যাওয়ায় বাজারে দেশীয় জাতের পেঁয়াজের দামও বাড়তে শুরু করেছে। কয়েকদিন আগেও মোকামে যে দেশীয় জাতের পেঁয়াজের দাম ৬শ টাকা থেকে ৭শ টাকা মণ ছিল এখন সেটি বেড়ে ৮শ টাকা মণ দাঁড়িয়েছে। এছাড়া সদ্য ঘোষিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে পেঁয়াজ আমদানিতে পাঁচ ভাগ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এ কারণেও পেঁয়াজ আমদানিতে কেজি প্রতি ৭০ পয়সা করে শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে। এছাড়াও ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানিতে ওই দেশের রফতানিকারকদের যে ইনসেনটিভ (প্রণোদনা) দিতো গত সপ্তাহে সেটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ভারতের বাজারেও পেঁয়াজের দাম কিছুটা বাড়ার কারণে বাংলাদেশে বাড়তি দামে পেঁয়াজ আমদানি করতে হচ্ছে। এর ফলে দেশের বাজারেও পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে।