স্থানীয় বাজারে এয়ার কন্ডিশনার বা এসি বিক্রিতে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। গ্রীষ্ম এব ঈদ উপলক্ষ্যে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, বছরের প্রথম পাঁচ মাসেই তা ছাড়িয়ে গেছে। গত বছরের তুলনায় একই সময়ে ওয়ালটন এসির বিক্রি বেড়েছে ১৮১.০১ শতাংশ।
ওয়ালটন এসির বিক্রয়ের এই সাফল্য অর্জনে অনুষ্ঠিত হয় ‘সেলিব্রেশন অব বুমিং সেলস অন ওয়ালটন এয়ার কন্ডিশনার’ প্রোগ্রামের। শনিবার, (১ জুন, ২০১৯) রাজধানীতে ওয়ালটন কর্পোরেট অফিসে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ইভা রিজওয়ানা, এমদাদুল হক সরকার, হুমায়ূন কবীর, এসএম জাহিদ হাসান, মোহাম্মদ তানভীর রহমান, মোহাম্মদ রায়হান, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শাহজাদা সেলিম, অপারেটিভ ডিরেক্টর ইসহাক রনি, অ্যাডিশনাল অপারেটিভ ডিরেক্টর খন্দকার শাহরিয়ার মুরশিদ, ডেপুটি অপারেটিভ ডিরেক্টর মফিজুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ওয়ালটন এসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) তানভীর রহমান বলেন, গ্রীষ্মের প্রখরতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওয়ালটন এসির বিক্রি। বর্ধিত চাহিদা মেটাতে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে নতুন করে বসানো হচ্ছে বিশ্বের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেশিনারিজ ও যন্ত্রপাতি। দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে শক্তিশালী করা হয়েছে এসির গবেষণা ও উন্নয়ন (আরএন্ডডি) টিম। একই সাথে রপ্তানিকে টার্গেট করে প্রযুক্তিগত উন্নয়নসহ নতুন নতুন মডেলের এসি উৎপাদনের কাজ চলছে। ফলে বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুণ এসি তৈরি ও বাজারজাত করা সম্ভব হবে।
তার মতে, ওয়ালটন এসির বিক্রয় বৃদ্ধিতে এই অভাবনীয় সাফল্য অর্জনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় বিশেষ অবদান রাখছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- বাজারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারসমৃদ্ধ এসি নিয়ে আসা, ইনভার্টার এসির কম্প্রেসরে ১০ বছরের গ্যারান্টি ঘোষণা, ৬ মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি সুবিধা, একচেঞ্জ অফারে যে কোনো ব্র্যান্ডের এসি বদলে ওয়ালটনের নতুন এসি ক্রয়ের সুযোগ। এছাড়াও, ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন ফোর-এর আওতায় ১ বছরের বিদ্যুৎ বিল ফ্রিসহ নতুন গাড়ি, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা স্বাক্ষরিত ব্যাট এবং সর্বোচ্চ এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার বা বিভিন্ন পণ্য ফ্রি পাওয়ার সুযোগ। পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডে ১০ শতাংশ ছাড়ে পণ্য কেনার সুবিধা।
ওয়ালটন এসির চীফ অপারেটিং অফিসার প্রকৌশলী ইসহাক রনি বলেন, গ্রাহকের হাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির পণ্য তুলে দিতে এসিতে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী টুইনফোল্ড ইনভার্টার, আয়োনাইজার, টার্বো কুলিং মোড, গোল্ডেন ফিনের মতো বিশ্বের লেটেস্ট প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি ওয়ালটনের রয়েছে আইওটি বেইজড স্মার্ট এসি; যা ভয়েস কমান্ড ও মুঠোফোনে নিয়ন্ত্রণযোগ্য।
ওয়ালটন এসির বিক্রয় বিভাগ জানায়, এ বছর ১ টন, ১.৫ টন এবং ২ টনের মোট ১৭ মডেলের স্পিøট এসি বাজারে ছেড়েছে তারা। ১.৫ ও ২ টনের ভেনচুরি ও রিভারাইন সিরিজের এসিতে যুক্ত হয়েছে এনার্জি সেভিং ইনভার্টার, আয়োনাইজার ও আইওটি স্মার্ট প্রযুক্তির নতুন মডেল। এগুলোর মধ্যে ১ টন এসি কেনা যাচ্ছে মাত্র ৩৫ হাজার ৯০০ টাকায়। ১.৫ টনের ইনভার্টার স্মার্ট এসি ৬৫ হাজার টাকায়, শুধু ইনভার্টার এসি ৬৩ হাজার ৫০০ টাকা এবং আয়োনাইজার এসি ৪৯ হাজার ৯০০ টাকায় কেনা যাচ্ছে।
আর ২ টনের আইওটি বেজড ইনভার্টার স্মার্ট এসির দাম ৭৬ হাজার ৪০০ টাকা। শুধু ইনভার্টার এসির দাম ৭৪ হাজার ৯০০ টাকা এবং আয়োনাইজার প্রযুক্তির এসির দাম ৫৬ হাজার ৯০০ টাকা।
উল্লেখ্য, ওয়ালটনের প্রতিটি এসি আন্তর্জাতিকমানের টেস্টিং ল্যাব নাসদাত-ইউটিএস থেকে মান নিয়ন্ত্রণ সনদ পাওয়ার পরে বাজারজাতকরা হয়। গ্রাহক পর্যায়ে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা পৌঁছে দিতে ওয়ালটনের রয়েছে আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম।
মার্সেল এসি বিক্রিতে ২১৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি:
নিজস্ব প্রতিবেদক
চলতি বছর এয়ার কন্ডিশনার বা এসি বিক্রয়ে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড মার্সেল। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত সময়ে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ২১৬.৫৪ শতাংশ বেশি এসি বিক্রি হয়েছে তাদের।
আজ সোমবার রাজধানীতে মার্সেল করপোরেট অফিসে আয়োজিত “সেলিব্রেশন অব বুমিং সেলস অব মার্সেল এয়ার কন্ডিশনার” প্রোগ্রামে এসব তথ্য জানানো হয়। সেসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ইভা রিজওয়ানা, এমদাদুল হক সরকার, মো: তানভীর রহমান, ড. মো. সাখাওয়াৎ হোসেন ও সিরাজুল ইসলাম, অপারেটিভ ডিরেক্টর প্রকৌশলী ইসহাক রনি, ডেপুটি অপারেটিভ ডিরেক্টর মফিজুর রহমান প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে মার্সেলের হেড অব সেলস ড. মো. সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর গরম পড়েছে বেশি। সেই সঙ্গে দেশব্যাপী এসির চাহিদা বেড়েছে। এদিকে আন্তর্জাতিকমানের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এসি বাজারে সরবরাহের মাধ্যমে বর্ধিত চাহিদার উল্লেখযোগ্য অংশ পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে মার্সেল। যার প্রমাণ- গত বছরের প্রথম পাঁচ মাস অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে মে মাসের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে মার্সেল এসি বিক্রি বেশি হয়েছে প্রায় ২১৬.৫৪ শতাংশ। এছাড়াও ২০১৮ সালের মে মাসের তুলনায় চলতি বছরের মে’তে এসি বিক্রি হয়েছে প্রায় ৪৫১ শতাংশ বেশি।
মার্সেল এসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: তানভীর রহমান জানান, চলতি বছরের শুরুতে স্থানীয় বাজারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির নতুন মডেলের এসি বাজারে ছেড়েছে মার্সেল। এর মধ্যে রয়েছে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার, আয়োনাইজার, টার্বো কুলিং মুড, আইওটি বেজড স্মার্ট এসি। এসব এসি দামে যেমন সাশ্রয়ী, তেমনি মানের দিক থেকেও অনেক উন্নত।
তিনি জানান, মার্সেল এসিতে ৬ মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি ও ফ্রি ইন্সটলেসন সুবিধার পাশাপাশি ইনভার্টার এসির কম্প্রেসরে ১০ বছরের গ্যারান্টি সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
মার্সেল এসির চীফ অপারেটিং অফিসার প্রকৌশলী ইসহাক রনি জানান, গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে গ্রাহকরা যে কোনো ব্র্যান্ডের পুরনো এসি জমা দিয়ে মার্সেলের নতুন এসি কিনতে পারছেন। সারা দেশে মার্সেলের যে কোনো শোরুমে পুরনো এসি জমা দিয়ে মার্সেলের নতুন এসি ২৫ শতাংশ ছাড়ে কেনার সুযোগ পাচ্ছেন গ্রাহক। ফলে এসি বিক্রি ব্যাপক বেড়েছে।
এই সুবিধার পাশাপাশি ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন ফোরের আওতায় মার্সেল এসি কিনে রেজিস্ট্রেশন করলেই গ্রাহকরা পেতে পারেন লাখ টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার, এক বছরের বিদ্যুৎ বিলসহ হাজার হাজার ফ্রি পণ্য।
এদিকে মার্সেল এসি কিনে গ্রাহক তার মোবাইল ফোনে এসির কলার টিউন সেট করলে এবং ক্রয়কৃত এসি ইনস্টল করার পর ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড করলেই মিলছে ১ হাজার টাকা ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক।
প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি অপারেটিভ ডিরেক্টর মফিজুর রহমান জানান, এ বছর ১ টন, ১.৫ টন ও ২ টনের অসংখ্য মডেলের স্পিøট এসি বাজারে ছেড়েছে মার্সেল। এর মধ্যে ২ টনের আইওটি বেজড ইনভার্টার স্মার্ট এসির দাম ৭৬ হাজার ৪’শ টাকা, শুধু ইনভার্টার এসির দাম ৭৪ হাজার ৯’শ টাকা ও আয়োনাইজার প্রযুক্তির এসির দাম ৫৬ হাজার ৯’শ টাকা ধরা হয়েছে।
এদিকে ১.৫ টনের ইনভার্টার স্মার্ট এসি ৬৫ হাজার টাকায়, শুধু ইনভার্টার এসি ৬৩ হাজার ৫’শ টাকা এবং আয়োনাইজার এসি ৪৯ হাজার ৯’শ টাকায় কেনা যাচ্ছে। এছাড়া মার্সেলের ১ টন এসির দাম ৩৫ হাজার ৫’শ টাকা।
কর্তৃপক্ষ জানায়, গ্রাহক পর্যায়ে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা পৌঁছে দিতে মার্সেলের রয়েছে আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এর আওতায় সারা দেশে রয়েছে ৭০টিরও বেশি সার্ভিস সেন্টার। সেখানে নিয়োজিত রয়েছেন আড়াই হাজারের বেশি প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান। প্রোগ্রামে উপস্থিত প্রতিষ্ঠানের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।