এবার ঈদুল আযাহায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে পারছেন না দেশের শীর্ষ রাজনীতিকরা। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের বাইরে থাকায় এ সুযোগ আর হচ্ছে না।
জাতিসংঘের ৭০তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এইচ এম মাহমুদ আলী, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, অর্থ উপদেষ্টা মশিউর রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকিসহ অনেকে।
জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশারাফুল ইসলাম আগেই লন্ডন গেছেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ করতে। সেখানে তিনি স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে ঈদ করবেন।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও চোখের চিকিৎসার জন্য লন্ডন গেছেন আরো আগেই। তিনিও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ করবেন। দীর্ঘ ৮বছর পর ছেলে, পুত্রবধু এবং নাতনীদের সঙ্গে ঈদ করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এম ওসমান ফারুক, শফিক রেহমান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আমির খসরু মাহামুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহামুদ টুকু, অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এহসানুল হক মিলনসহ শীর্ষ নেতারা দেশের বাইরে রয়েছেন।
প্রতিবার আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি প্রধানের পক্ষ থেকে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান থাকলেও এবার তা হচ্ছে না। আওয়ামী লীগের দুয়েক শীর্ষ নেতা ঈদে ঢাকায় থাকবেন। বাকি যারা দেশে রয়েছেন তারা তাদের নির্বাচনী এলাকায় ঈদ করবেন।
এ দিকে যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুর থেকে প্রায় দুই মাস পর চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঈদের দিনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতার সমাধিতে দলীয় কর্মসূচি থাকলেও তিনি এ কর্মসূচিতে থাকছেন না। তিনি চলে গেছেন তার নির্বাচনী এলাকা ঠাকুরগাঁয়ে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের পক্ষ থেকে এবার ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির মুখপাত্রের দায়িত্বে থাকা আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, ‘সে সুযোগ নেই।’
এদিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদও ঈদে থাকছেন রংপুরে।
দেশের শীর্ষ নেতারা এবার ঈদে দেশে না থাকায় রাজনীতিতে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে রাষ্ট্র বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এমাজ উদ্দিন আহমেদ বাংলামেইলকে বলেন, ‘একজন গেছেন চিকিৎসার জন্য, আরেকজন জাতিসংঘের অধিবেশনে। তাছাড়া রাষ্ট্রপতি তো আছেনই। তিনিও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ নিয়ে রাজনৈতিক কর্মীদের মধ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া হবে বলে আমার মনে হয় না।’