নটিংহ্যামের ট্রেন্টব্রিজ স্টেডিয়াম বরাবরই পরিচিত রানপ্রসবা ভেন্যু হিসেবে। যার ব্যত্যয় ঘটেনি বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ম্যাচেও। দুই দলই গড়েছে ৩৩০ রানের বেশি দলীয় সংগ্রহ। পুরো ম্যাচে দেখা মিলেছে ২টি সেঞ্চুরি ও ৩টি হাফসেঞ্চুরির। এরই সঙ্গে ভেঙেছে কিছু রেকর্ড, নতুন করে গড়া হয়েছে কিছু রেকর্ড। এ প্রতিবেদনে দেখে নেয়া যাক বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ম্যাচের সেসব রেকর্ডগুলো:
৭১৪- ম্যাচে দুই ইনিংস মিলে রান হয়েছে মোট ৭১৪ (৩৮১+৩৩৩)। যা কি-না বিশ্বকাপের ইতিহাসে কোনো ম্যাচের দুই ইনিংস মিলে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এ তালিকায় প্রথম ৭টির মধ্যে চারটিই হয়েছে বিশ্বকাপের এবারের আসরে।
২- নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে ৩৮১ রানের চেয়ে বেশি মাত্র ২টি স্কোর রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। এছাড়া বিশ্বকাপে এ রানের চেয়ে বেশি একটিমাত্র ইনিংস রয়েছে তাদের। এছাড়া সবমিলিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে চতুর্থ সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ এটি। কাকতালীয়ভাবে ৪টির মধ্যে দুইটিই এসেছে ট্রেন্টব্রিজে।
২৫ - রুবেল হোসেনের করা ৪৬তম ওভার থেকে ২৫ রান নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। যা কি-না চলতি আসরে এক ওভারে সর্বোচ্চ রান নেয়ার রেকর্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচের ৩৮তম ইনিংসে ২৪ রান নিয়েছিল বাংলাদেশ।
১৬৬ - ডেভিড ওয়ার্নারের খেলা ১৬৬ রানের ইনিংসটি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। গত বিশ্বকাপে এই ওয়ার্নারই আফগানিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন ১৭৮ রান।
২ - বিশ্বের একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিকেটের বিশ্বমঞ্চে দুইবার ১৫০+ রানের ইনিংস খেলেছেন ওয়ার্নার। এছাড়া ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি ওয়ার্নারের ষষ্ঠ ১৫০+ রানের ইনিংস। শুধুমাত্র রোহিত শর্মারই তার চেয়ে বেশি (৭ বার) ১৫০+ রানের ইনিংস খেলার নজির রয়েছে।
১ - বিশ্বকাপে এবারই প্রথমবারের মতো শুরুর দুই উইকেটে শতরানের জুটি পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপে সবমিলিয়ে মাত্র চারবার দেখা গেছে এমন নজির।
১১০- ওয়ার্নারের সেঞ্চুরিটি ছিল তার ক্যারিয়ারের ১৬তম সেঞ্চুরি। তার চেয়ে কম ইনিংসে ১৬টি ওয়ানডে সেঞ্চুরি করার রেকর্ড রয়েছে শুধুমাত্র হাশিম আমলার (৯৪ ইনিংস)। ১৬ সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে বিরাট কোহলির সমান ইনিংস খেলেছেন ওয়ার্নার।