দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমেছে। এর আগে পেঁয়াজের দাম বাড়তির দিকেই ছিল। অল্প সময়ের ব্যবধানে দুই দফায় বেড়ে পণ্যটির কেজি মানভেদে ১৬-১৮ টাকায় উঠেছিল। তবে এখন কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। পাঁচদিনের ব্যবধানে পণ্যটির দাম ৩ টাকা কমে কেজিপ্রতি ১৩-১৬ টাকায় নেমে এসেছে। মূলত ভারত থেকে আমদানি বাড়িয়ে দেয়ার কারণে এখানকার আড়তগুলোয় পেঁয়াজের সরবরাহ আগের তুলনায় বেড়ে গেছে। ফলে কমতে শুরু করেছে দাম।
ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পেঁয়াজ রফতানিতে ১০ শতাংশ প্রণোদনামূলক স্কিম তুলে নেয়ায় দেশের বাজারেও আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছিল। এর সঙ্গে যুক্ত হয় ২০১৯-২০ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে আরোপিত পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক। এ দুয়ের জের ধরে আমদানি করা পেঁয়াজের বাজার চাঙ্গা হতে শুরু করে।
এ ধারাবাহিকতায় পাঁচদিন আগেও হিলির আড়তগুলোয় পাইকারি পর্যায়ে (ট্রাকসেল) আমদানি করা প্রতি কেজি পেঁয়াজ মানভেদে ১৬-১৮ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। গতকাল স্থানীয় পাইকারি আড়তগুলো ঘুরে প্রতি কেজি আমদানি করা পেঁয়াজ মানভেদে ১৩-১৬ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। সে হিসাবে পাঁচদিনের ব্যবধানে হিলির পাইকারি বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কেজিতে সর্বোচ্চ ৩ টাকা কমেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বাড়ানো হয়েছে। আগে এ স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ২৫-৩০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হতো। বর্তমানে এ সংখ্যা দৈনিক ৪০-৪৫ ট্রাকে উন্নীত হয়েছে।
এ বিষয়ে হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক হারুন উর রশীদ হারুন বলেন, একদিকে রফতানিতে ভারতের প্রণোদনা স্কিম তুলে নেয়া, অন্যদিকে জাতীয় বাজেটে আমদানিতে ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ, এ দুয়ের জের ধরে আমদানি করা পেঁয়াজের বাজার চাঙ্গা হয়েছিল। একই সঙ্গে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের সরবরাহ তুলনামূলক কম থাকায় পণ্যটির দামও বাড়তির দিকে ছিল। এখন বর্ষা মৌসুমের আগে হিলিসহ দেশের সব স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি বাড়ানোর ফলে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম।