মিসরের আব্দুল ফাত্তাহ আল সিসির অনুগত সেনাবাহিনী দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির জন্মস্থানে অভিযান চালিয়েছে। সেনারা আল-এদওয়াহ গ্রামে হানা দিয়ে সেখানকার বহু মানুষকে আটক করেছে। খবর পার্স ট্যুডে।
মিসরের সামরিক বাহিনী এখনো ওই গ্রাম অবরুদ্ধ করে রেখেছে। মুরসির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তার গ্রামের লোকজন যেন সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিতে না পারে সেজন্য মিসরের সেনাবাহিনী এ ব্যবস্থা নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত সোমবার মিসরের একটি আদালতের এজলাসে শুনানির সময় আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন মুরসি। এরপরেই তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর পর মিসরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশে জরুরি অবস্থা জারি করে।
মিসরের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি ২০১৩ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে কারাবন্দি করেন। তখন থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মুরসি কারাগারেই বন্দি ছিলেন।
মিসরের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুরসিকে গত ছয় বছরের বেশিরভাগ সময়ই কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে। সেখানে তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়নি বলে তার পরিবার ও আইনজীবীরা অভিযোগ করেছেন।
আদালতে এর আগের শুনানির দিন মুরসি নিজেই বলেছিলেন যে, চিকিৎসার অভাবে তার শরীরের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়েছে এবং তার জীবন হুমকির মুখে রয়েছে। কিন্তু আদালতের পক্ষ থেকে তার এই কথাকে আমলে নেয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত আদালতের এজলাসে বিচারকের সামনেই মুরসির মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর পর তার দাফনও হয়েছে অনেকটা গোপনেই। বাইরের লোকজনকে তার জানাজায় অংশ নিতে দেয়া হয়নি। শুধুমাত্র তার পরিবারের লোকজন এবং আইনজীবীরাই সেখানে উপস্থিত ছিলেন।