এবার বিএনপি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম এম শাহরিয়ার রুমী। দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী দল ছাড়ার পর দুই সাপ্তাহ না যেতেই এই ঘোষণা এলো এক সময়ের আওয়ামী লীগার এই বিএনপি নেতা।
তবে শমসের মবিন দল ছাড়ার পাশাপাশি রাজনীতি থেকেও বিদায় নিয়েছেন। কিন্তু রুমী আবার আওয়ামী লীগে ফিরে যাচ্ছেন। কিন্তু কেন এই প্রত্যাবর্তন?
রোববার একটি অনলাইন গণমাধ্যমকে তিনি জানান, কুরিয়ার করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বরাবরে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। ফরিদপুর জেলা কমিটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের পদ থেকেও তিনি ইস্তফা দিয়েছেন।
“আমি মনে করি, মুক্তিযুদ্ধের শক্তি, যারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশকে স্বাধীন করেছিলাম, আজ আমাদের সবার এক হওয়া উচিৎ। সেই কারণে বিএনপি থেকে আমি পদত্যাগ করেছি।”
২০০১ সালের নির্বাচনে ফরিদপুর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে পরের বছর ৪ মে বিএনপিতে যোগ দেন রুমী। ওই আসনে সে সময় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে পরাজিত হন রুমী।
পুরো পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তার বাবা শামসুদ্দিন মোল্লা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলেন।
রুমী জানান, ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি যে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল, তাতে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি। পরে ওই নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়।
এখন আওয়ামী লীগে যোগ দেবেন কিনা জানতে চাইলে রুমী বলেন, “আমাদের পুরো পরিবারই আওয়ামী লীগ করে। আমি ছাত্রচীবনে ছাত্রলীগ করেছি।
“২০০২ সালে কেবল আমিই পরিবারের বাইরে এসে বিএনপিতে যোগ দিয়েছিলাম। এটা নিয়ে এতোদিন অস্বস্তিতে ছিলাম। এই পদত্যাগে তা কেটে গেল। এখন কী করব সে সিদ্ধান্ত নিইনি।”
চলতি মাসের প্রথম দিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে দল ছেড়ে রাজনীতি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন।
আওয়ামী লীগ নেতারা সে সময় বলেছিলেন, বিএনপিতে এখনও যারা মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী আছেন, তারাও একে একে দল ছাড়বেন।