বিশ্বে চিনি উৎপাদকদের তালিকায় ভারত দ্বিতীয় শীর্ষ দেশ। গত মৌসুমের ধারাবাহিকতায় এবারো দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে বিদ্যমান খরা পরিস্থিতি চিনির প্রধান কাঁচামাল আখ উৎপাদনে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। ফলে দেশটিতে খাদ্যপণ্যটির উৎপাদন ক্রমে সংকুচিত হয়ে আসছে। এর জের ধরে ২০১৯-২০ মৌসুমে (অক্টোবর-সেপ্টেম্বর) দেশটিতে চিনি উৎপাদনে মন্দা ভাব বজায় থাকতে পারে। চলতি মৌসুমের তুলনায় ২০১৯-২০ মৌসুমে ভারতে চিনি উৎপাদন ১৫ শতাংশ কমতে পারে। খবর কমোডিটি অনলাইন ও রয়টার্স।
ভারতের ন্যাশনাল ফেডারেশন অব কো-অপারেটিভ সুগার ফ্যাক্টরিজ লিমিটেডের (এনএফসিএসএফ) একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ২০১৯-২০ মৌসুমে ভারতের চিনি উৎপাদন দাঁড়াতে পারে সব মিলিয়ে ২ কোটি ৮০ লাখ থেকে ২ কোটি ৯০ লাখ টনে। চলতি মৌসুম শেষে দেশটিতে ৩ কোটি ৩০ লাখ টন চিনি উৎপাদন হতে পারে। অর্থাৎ চলতি মৌসুমের তুলনায় আগামী মৌসুমে ভারতের চিনি উৎপাদন কমতে পারে ৪০-৫০ লাখ টন।
এনএফসিএসএফে তথ্য অনুযায়ী, ভারতের দ্বিতীয় শীর্ষ চিনি উৎপাদনকারী প্রদেশ মহারাষ্ট্র ২০১৯-২০ মৌসুমে ৬৫ লাখ টন চিনি উৎপাদন করতে পারে, যা চলতি মৌসুমের তুলনায় ৩৯ দশমিক ২ শতাংশ কম।
মহারাষ্ট্রের স্টেটস সুগার কমিশনার জানিয়েছেন, বৈরী আবহাওয়া ও আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দামে মন্দা ভাব বজায় থাকার কারণে কৃষকরা আখ চাষের পরিমাণ কমাতে পারেন। চলতি মৌসুমে ভারতীয় চাষীরা মোট ১১ দশমিক ৬২ লাখ হেক্টর আখ চাষ করেছিলেন। ২০১৯-২০ মৌসুমে আখ চাষের আওতায় জমির পরিমাণ ২৮ শতাংশ কমে ৮ দশমিক ৪৩ লাখ হেক্টরে দাঁড়াতে পারে।