দেশের শিল্প উন্নয়নে বড় সহযোগি প্রাইভেট ব্যাংক : বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০১৯-০৬-২৫ ১৬:৪৭:০৭
দেশের শিল্প উন্নয়নে বড় সহযোগি প্রাইভেট ব্যাংক এবং শিল্প উন্নয়নে প্রাইভেট ব্যাংকের অনেক অবদান রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। এ প্রসঙ্গে তিনি এসব ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুবিধার কথা তুলে ধরেন।
আজ মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) মাধ্যমে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের (বিটিএমসি) আহমেদ বাওয়ানী টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের ডেমরা মিলটি এখন থেকে কনসোর্টিয়াম অব তানজিনা ফ্যাশন লিমিটেডের মাধ্যমে পরিচালিত হবে বলে চুক্তি সই হয়।
গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘আমরা যখন প্রথমে ব্যবসা শুরু করেছিলাম তখন সরকারি ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে গেলে ১০ পৃষ্ঠার ফরম পূরণ করে জমা দিতে হতো। সেটা পূরণ করতে গিয়ে আবার ভুল হতো, এভাবে সময় গড়িয়ে যেত কিন্তু আমরা ঋণ পেতাম না। অপরদিকে সরকার যখন প্রাইভেট ব্যাংকের অনুমোদন দিলো তখন ব্যাংকগুলো আমাদের কারখানায় গিয়ে ঋণ সুবিধা দেওয়ার জন্য বসে থাকতো। যেখানে আগে কয়েক মাসেও ঋণ সুবিধা পেতাম না সেখানে প্রাইভেট ব্যাংক আসার পরে এক সপ্তাহে আমরা ঋণ সুবিধা পেয়ে গেছি। তাই শিল্পের অগ্রসরতায় প্রাইভেট ব্যাংকের ব্যাপক অবদান রয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সারা পৃথিবীর মধ্যে আমরাই প্রথম পিপিপি’র মাধ্যমে টেক্সটাইলগুলোকে এগিয়ে নেওয়ার প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এই শিল্প বেঁচে থাকলে কর্মসংস্থানের অভাব থাকবে না।’
গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘এই ধীর গতি তথা দীর্ঘসূত্রিতা কমিয়ে আনতে হবে। যত দ্রুত সরকারি অফিসের ফাইলের দীর্ঘসূত্রিতা কমানো যাবে ততই উন্নয়ন বেগমান হবে। এরইমধ্যে আমরা বর্তমানে কর্মসংস্থান এবং সকল ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে এগিয়ে আছি। এই উন্নয়ন আরও বেগবান হবে।’
তিনি জানান, ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিটিএমসির বন্ধ মিলগুলো চালু করার বিষয়ে নির্দেশনা দেন। বিটিএমসির বন্ধ মিলগুলো পিপিপির মাধ্যমে পরিচালনার জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একইসঙ্গে পর্যায়ক্রমে পিপিপির মাধ্যমে বিটিএমসির থেকে ২৫টি মিলের মধ্যে ১৬টি মিল পিপিপি এর আওতায় পারিচালনার জন্য অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিইএ) নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। ফলে এখন থেকে ঘুরবে বন্ধ মিলগুলোর চাকা।
ঋণ খেলাপিদের ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়ে গোলাম দস্তগীর বলেন, ‘যারা ঋণ খেলাপি তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। ব্যাংকগুলো থেকে টাকা নেবেন কিন্তু দেবেন না সেটা হতে পারে না। তাই যারা ঋণ খেলাপি তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেই হবে। নয়তো ব্যাংকগুলো পথে বসে যাবে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব গুলনার নাজমুন নাহার, মাগুরা ১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইসরাফিল আলম,মোমিন মন্ডল,বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল কর্পোরেশনের (বিটিএমসি) চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান, বিজিএমইএ এর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, তানজীনা বাওয়ানী টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসানুল মুজিব প্রমুখ।
সানবিডি/ এমএফইউ