গত বোরো মৌসুমে নওগাঁর রাণীনগরে ইরি-বোরো ধানের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় কৃষকরা আউশ আবাদ করছেন না। অনেকের বীজতলা প্রস্তুত থাকার পরও তারা ধান রোপণ করছেন না বলে জানিয়েছেন রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম।
রাণীনগর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে,এ মৌসুমে আউশ আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ৪ হাজার হেক্টর নির্ধারণ করা হলেও এখন পর্যন্ত ধান রোপণ করা জমির পরিমাণ ২ শ’ হেক্টরও হয়নি। অথচ গত আউশ মৌসুমে রাণীনগর উপজেলায় প্রায় ৩ হাজার ২ শ’ ৮০ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ করা হয়েছিল। ওই মৌসুমে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হলেও উৎপাদন হয়েছিল ৬ হাজার মেট্রিকটন।
বরগাছার কৃষক হাবিবুবর রহমান বলেন,‘গরু-ছাগল বিক্রি করে ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে আমি রোদ বৃষ্টিতে হার ভাঙা পরিশ্রম করে ধান উৎপাদন করেছি। এক বিঘা জমিতে ধান উৎপাদন করতে হাল চাষ থেকে শুরু করে লাগানো, পানির দাম, কিটনাশক ওষুধ দেওয়াসহ যে পরিমাণ খরচ হয় তাতে লাভ তো দূরের কথা এখন লোকসান গুনতে হচ্ছে। ’
বড়িয়া পাড়ার দুলাল মৃধা বলেন, গত আউশ মৌসুমে ফলন একটু কম হলেও দাম ভালো পাওয়ায় বেশ লাভ হয়েছিল। এবার বোরো ধান বিক্রি করে লাভ তো দূরের কথা বিঘা প্রতি ৩-৪ হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে। তাই এ মৌসুমে অনেকেই আউশ ধান করছেন না।’
এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গত আউশ মৌসুমে প্রায় ৩ হাজার ২ শ’ ৮০ হেক্টর জমিতে ধান আবাদ হয়েছিল। এবার ধান আবাদের লক্ষ্য মাত্রা চার হাজার হেক্টর নির্ধারণ করা হলেও কৃষকদের কোনও আগ্রহ নেই। গ্রামে গ্রামে গিয়ে আউশ আবাদের জন্য কৃষকদের নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করছি তারপরও খুব বেশি সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।