মুদ্রানীতি বাস্তবায়নে বৈদেশিক সম্পদ ও ব্যাংক ঋণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০১৯-০৬-২৬ ১৮:০৫:২২


সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, রফতানি, আমদানি, রেমিটেন্স ও বৈদেশিক মূলধনের ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আরো নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। তিনি বলেছেন, ব্রডমানি এবং কিভাবে ব্রডমানি সুদের হারকে নিয়ন্ত্রণ করে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজর দেওয়া জরুরী। একই সঙ্গে সরকারের ঋণের ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেই। এ বিষয়টিও বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে হবে। সীমিত নিয়ন্ত্রণ কার্যকর মুদ্রানীতি প্রণয়নে বাঁধা সৃষ্টি হচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) অডিটোরিয়ামে দ্বিতীয় এ কে এন আহমেদ মেমোরিয়াল লেকচার ‘সেন্ট্রাল ব্যাংকিং’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএম গভর্নিং বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মহা: নাজিমুদ্দিন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক শক্তিশালীকরণে এ ধরণের মেমোরিয়াল লেকচার কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে জানান বিআইবিএমের মহাপরিচালক।

মূল প্রবন্ধে মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন নীতিমালায় জিডিপি প্রবৃদ্ধি ত্বরাণি¦ত করা চূড়ান্ত উদ্দেশ্য বলে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, উচ্চ মুদ্রা সরবরাহ এবং উচ্চ সুদের হারের যুগোপৎ উপস্থিতি বাংলাদেশে মুদ্রানীতির সীমিত প্রভাবের বিষয়টি প্রমাণ করে।

গভর্নর ফজলে কবির বলেন, অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণে মুদ্রানীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কিন্তু বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল বিশ্বে পরিবর্তনশীল অর্থনীতির জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক টেকসউ উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। একই সঙ্গে সুদের হার নিয়ন্ত্রণের জন্যও কাজ করছে। মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে বেঁধে রাখার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে মুদ্রানীতি প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আরো বলেন, বিআইবিএম -এর ‘সেন্ট্রাল ব্যাংকিং’ বিষয়ক মেমোরিয়াল লেকচার তরুণ ব্যাংকারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একইসঙ্গে তরুণ ব্যাংকারদের পেশাদারিত্বের উন্নয়নে কাজে আসবে বলে তিনি মনে করেন।

উল্লেখ্য, প্রয়াত এ কে এন আহমেদ ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের দ্বিতীয় গভর্নর । তিনি ১৯৭৪ সালের নভেম্বর থেকে ১৯৭৬ সালের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।