বিগত ১৯৯২ বিশ্বকাপের পথেই হাঁটছে পাকিস্তান! সেবার দলটির প্রথম ছয় ম্যাচের ফলের সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে এবার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সপ্তম ম্যাচেও সাদৃশ্যটা বজায় রাখলেন সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
’৯২ বিশ্বকাপে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে দাপুটে জয় তুলে নিয়ে সেমিফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন ইমরান খান বাহিনী। এজবাস্টনেও ঠিক একই পথে হাঁটলেন সরফরাজ আহমেদ ব্রিগেড। কিউইদের ৬ উইকেটে হারিয়ে সেমিতে খেলার স্বপ্ন জিইয়ে রাখলেন তারা।
এ জয়ে কাণ্ডারির ভূমিকা পালন করেন বাবর আজম। দারুণ ব্যাটিংয়ে তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দশম সেঞ্চুরি। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করে ১২৭ বলে ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। সেঞ্চুরিয়ান বাবরকে যোগ্য সঙ্গ দেন হারিস সোহেল। ৭৬ বলে ৬৮ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন তিনি।
তাতে আরামসে নিউজিল্যান্ডের দেয়া ২৩৮ রানের টার্গেট টপকে যায় পাকিস্তান। বল হাতে মাত্র ২৮ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়ে কিউইদের অল্প রানে বেঁধে রাখেন শাহীন আফ্রিদি। জেমস নিশামের হার না মানা লড়াকু ৯৭ এবং কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের ৬৪ রানের ইনিংসটি কার্যত কোনো কাজেই আসেনি।
দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর দুর্দান্ত কামব্যাক করেছে পাকিস্তান। একপেশে জয়ে সাত ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ছয়ে উঠে এসেছে আনপ্রেডিক্টেবল দলটি। তাদের (-০.৯৭৬) সমান পয়েন্ট নিয়ে রানরেটে এগিয়ে থাকায় টেবিলের পাঁচে বাংলাদেশ (-০.১৩৩)।
তবে পাকিস্তানের এ জয়ে টাইগারদের ওপর চাপ কিছুটা হলেও বাড়ল। দুদলেরই পয়েন্ট সমান, হাতেও রয়েছে সমান দুটি করে ম্যাচ। অর্থাৎ সেমিতে ওঠার দৌড়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করতে হবে উভয় দলকে।