হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম ফের বাড়তে শুরু করেছে। মাত্র তিনদিনের ব্যবধানে এখানকার বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৪ টাকা বেড়েছে।
বর্তমানে পণ্যটির দাম উঠেছে কেজিপ্রতি ১৭ টাকায়। আমদানি আগের তুলনায় কিছুটা শ্লথ হয়ে আসায় হিলিতে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে বলে জানান স্থানীয় আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা।
গতকাল হিলির পাইকারি আড়তগুলো ঘুরে ভারতের নাসিক ও ইন্দোর থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বেশি বিক্রি হতে দেখা যায়। এ সময় বাজারে ভারতীয় সুখসাগর জাতের পেঁয়াজেরও চাহিদা ছিল। পাইকারি পর্যায়ে (ট্রাকসেল) আমদানি করা এসব পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১৬-১৭ টাকায় বিক্রি হয়। তিনদিন আগেও হিলির পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি আমদানি করা পেঁয়াজ ১২-১৩ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সেই হিসাবে, তিনদিনের ব্যবধানে হিলিতে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৪ টাকা বেড়েছে।
আমদানিতে শ্লথতার বিষয়ে হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক হারুন উর রশীদ হারুন বলেন, বর্ষার সময় পেঁয়াজ আমদানিতে ঝামেলা বেড়ে যায়। বৃষ্টিতে ভিজে পথেই অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়। লোকসানের শিকার হন আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা। এ কারণে এবার বর্ষা শুরুর আগেই দেশীয় আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। প্রতিদিন ৪০-৪৫ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। ফলে বাড়তি আমদানির জের ধরে পাইকারি বাজারে পণ্যটির দাম কমে যায়।
তিনি জানান, দাম কমতির দিকে থাকায় বর্তমানে দেশীয় আমদানিকারকরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছেন। তাই চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ অনেকটাই কমে এসেছে। এর প্রভাব পড়েছে পাইকারি বাজারে। তিনদিনেই আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৪ টাকা বেড়ে গেছে। আগামী দিনগুলোয় আমদানি বাড়ানো না গেলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বর্তমানের তুলনায় আরো বাড়তে পারে।