অবশেষে সাভারের হেমায়েতপুর থেকে মিরপুর ও গুলশান হয়ে ভাটারা পর্যন্ত আরেকটি মেট্রোরেল প্রকল্প (এমআরটি-৫) এর রুট নির্ধারণসহ চূড়ান্ত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) সম্পন্ন করা হয়েছে। এমআরটি লাইন-৫ বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১ হাজার ২৬১ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এর মধ্যে জাপানভিত্তিক বিনিয়োগ সংস্থা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) ঋণ ৩০ হাজার ৭৫৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এছাড়া ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২৮ এর ডিসেম্বর মেয়াদে প্রকল্পটির কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে।
নতুন এই মেট্রোরেলের এলাইনমেন্ট হলো-হেমায়েতপুর-বালিয়ারপুর-মধুমতি-আমিনবাজার-গাবতলী-দারুসসালাম-মিরপুর ১-মিরপুর ১০-মিরপুর ১৪-কচুক্ষেত-বনানী-গুলশান ২-নতুন বাজার-ভাটারা পর্যন্ত। এ রুটের অধিকাংশই মাটির নিচ দিয়ে যাবে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ৩৯৫ পাতার চূড়ান্ত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) তৈরি করে ফেলেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। একইসঙ্গে চূড়ান্ত ডিপিপি ইতোমধ্যেই পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। ডিপিপির ওপর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভার পর এটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হবে।
২০ কিলোমিটার এ লাইনটির ১৪ কিলোমিটার হবে পাতাল রুট; বাকি ছয় কিলোমিটার উড়াল বা এলিভেটেড রুট।
হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত নতুন এই মেট্রোরেল রুটটি বাস্তবায়নে ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভলপমেন্ট প্রজেক্টের (ডিএমটিডিপি) অধীনে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য চলতি বছরেই ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করতে চাইছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
এমআরটি রুট-৫ (নর্দান রুট) এ ১৪টি স্টেশন থাকবে। এর মধ্যে নয়টি স্টেশন হবে আন্ডারগ্রাউন্ডে অর্থাৎ মাটির নিচে। আর বাকি পাঁচটি স্টেশন থাকবে মাটির উপরে। প্রস্তাবিত পাতাল স্টেশনগুলো হচ্ছে- হেমায়েতপুর, বালিয়াপুর, মধুমতি, আমিনবাজার, গাবতলী, দারুসসালাম, মিরপুর-১, মিরপুর-১০, মিরপুর-১৪। অন্যদিকে কচুক্ষেত, বনানী, গুলশান-২,নতুনবাজার, ভাটারা স্টেশনগুলো হবে উড়াল।