রাশিয়ায় জুলাইয়ের প্রথম দিন থেকে শুরু হয়েছে কৃষিপণ্যের ২০১৯-২০ বিপণন মৌসুম। আবহাওয়া প্রতিকূল থাকার কারণে এবারের মৌসুমে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গম রফতানিকারক দেশ রাশিয়া থেকে কৃষিপণ্যটির রফতানি আগের প্রাক্কলনের তুলনায় কমে পৌনে চার কোটি টনে নেমে আসতে পারে। মস্কোভিত্তিক কৃষিপণ্যবিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সভইকনের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। খবর রয়টার্স ও বিজনেস রেকর্ডার।
প্রতিষ্ঠানটির পূর্বাভাস অনুযায়ী, সদ্য শুরু হওয়া বিপণন মৌসুমে রাশিয়া থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ৩ কোটি ৭৬ লাখ টন গম রফতানি হতে পারে, যা প্রতিষ্ঠানটির আগের প্রাক্কলনের তুলনায় ছয় লাখ টন কম।
এদিকে সভইকনের সাম্প্রতিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০১৯-২০ বিপণন মৌসুমে রাশিয়া থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ৪ কোটি ৮৯ লাখ টন শস্য রফতানি হতে পারে, যা প্রতিষ্ঠানটির আগের প্রাক্কলনের তুলনায় পাঁচ লাখ টন কম। এর মধ্যে যব রফতানি হতে পারে ৫২ লাখ টন। আর ভুট্টা রফতানির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ৪১ লাখ টনের মতো।
তবে সভইকনের প্রাক্কলনের বিপরীত তথ্য জানিয়েছে ফ্রান্সের কৃষিবিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এগ্রিটেল। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯-২০ বিপণন মৌসুমের শুরুতে রাশিয়ার কৃষিপ্রধান অঞ্চলগুলোয় কিছুটা খরা পরিস্থিতি বজায় থাকতে পারে। তবে এর জের ধরে দেশটির গম উৎপাদন খুব একটা ব্যাহত হবে না। তাই রাশিয়া থেকে কৃষিপণ্যটির রফতানিতে মন্দা ভাব দেখা দেয়ার সম্ভাবনা কম।
প্রতিষ্ঠানটির সাম্প্রতিক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সদ্য শুরু হওয়া ২০১৯-২০ বিপণন মৌসুমে রাশিয়া থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ৮ কোটি ১৭ লাখ টন গম রফতানি হতে পারে, যা আগের মৌসুমে তুলনায় ১৩ শতাংশ বেশি।
এগ্রিটেলের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০১৯-২০ মৌসুমে রাশিয়ায় প্রতি হেক্টরে গড়ে ৪ দশমিক ৩ টন গম উৎপাদন হতে পারে, যা আগের মৌসুমের তুলনায় ১১ শতাংশ বেশি। ২০১৭ সালে রাশিয়ায় গমের হেক্টরপ্রতি উৎপাদনে রেকর্ড হয়েছিল। ওই বছর দেশটিতে প্রতি হেক্টর জমি থেকে ৪ দশমিক ১৭ টন গম উৎপাদন হয়েছিল।