মিয়ানমারে নতুন করে যুদ্ধাপরাধ ঘটে থাকতে পারে বলে জাতিসংঘকে জানিয়েছেন মিয়ানমারে মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ ইয়াংহি লি। তিনি বলেছেন, অশান্ত রাখাইনে বেসামরিক লোকজনের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে দেশটির সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীরা। একে নতুন করে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে দেখা যায় বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন তিনি। ইয়াংহি লি জানিয়েছেন বিদ্রোহী বা উগ্রপন্থিরা সাধারণ মানুষকে অপহরণ করছে। আর সরকারি হেফাজতে মারা যাচ্ছে মানুষ।
তবে জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের দূত বলেছেন, তার সরকার জাতিগত সংঘাত বন্ধে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গত ২০১৭ সালের আগস্টে শুরু হওয়া নৃশংসতায় রাখাইন থেকে পালিয়ে কমপক্ষে ৭ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশে। চালানো হয়েছে গণহত্যা, ধর্ষণ, পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম।
কিন্তু বর্তমানে রাখাইন ও চিন রাজ্যে সেনাবাহিনী ও জাতিগত বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াই অব্যাহত রয়েছে । এই দুটি রাজ্যে অধিকতর শায়ত্ত শাসনের দাবিতে লড়াই করছে আরাকান আর্মি। ২২ শে জুন কর্তৃপক্ষ টেলিকম কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে ওই দুটি রাজ্যে ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধ করে দিতে।
টেলিনর গ্রুপ বলেছে, বেআইনি কর্মকান্ড সংঘটিত করতে অপরাধীরা ইন্টারনেট ব্যবহার করছে, তারা এর মধ্য দিয়ে শান্তি বিঘ্নিত করছে এ কথা বলে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এ অবস্থার প্রেক্ষিতে মিয়ানমারে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ ইয়াংহি লি গত সপ্তাহে বলেছেন, রাখাইন ও চিন রাজ্যে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক বন্ধের মাধ্যমে সেনাবাহিনী ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন করে থাকতে পারে। আর মঙ্গলবার তিনি আরো একটু এগিয়ে বলেন, রাখাইনের উত্তরাঞ্চল ও চিন রাজ্যের কিছু অংশে কয়েক মাস ধরে আরাকান আর্মির সঙ্গে লড়াই চলছে। এতে সাধারণ মানুষের ওপর ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে। সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির অনেক কর্মকান্ডই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করছে। এটা হতে পারে আরেকটি যুদ্ধাপরাধ। একই সঙ্গে তা মানবাধিকারের লঙ্ঘনও।