আন্তঃমন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত অনলাইন নীতিমালা শিগগির চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। রবিবার বিকালে জাতীয় সংসদের দশম অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে পটুয়াখালী-৩ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
হাসানুল হক ইনু বলেন, সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার আলোকে অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা, ২০১৫ শিরোনামে একটি নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়। এই নীতিমালা প্রণয়নের জন্য একটি মূল কমিটি ও একটি সাব কমিটি গঠন করা হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাব কমিটি প্রস্তাবিত নীতিমালা মূল কমিটিতে উপস্থাপনপূর্বক চূড়ান্ত করে চলতি বছরের ৬ আগস্ট মতামত গ্রহণের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
তিনি বলেন, লিখিত মতামতের জন্য আরও ১৬টি মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছিল। সেখানে মন্ত্রণালয়ের মতামত পাওয়া গিয়েছে। শিগগির আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করে প্রস্তাবিত নীতিমালাটি চূড়ান্ত করা হবে।
সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবির প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে নূন্যতম যোগ্যতার মানদণ্ড নেই। তবে অনেক সাংবাদিক আছেন যাদের প্রাতিষ্ঠানিক উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত ও পেশার প্রতি দায়বদ্ধ।
মন্ত্রী জানান, ‘বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আইন, ১৯৭৪’ সংশোধনপূর্বক সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ন্যূনতম যোগ্যতার বিষয়টি অন্তর্ভুক্তি নিয়ে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করা হচ্ছে।
ভোলা-৩ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী জানান, গত চার দশকে গণমাধ্যমের সংখ্যা ও প্রচার বৃদ্ধি পেয়েছে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন ও সাহসী ভূমিকার কারণে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে গণমাধ্যম।
সরকারের উদার নীতির কারণে গণমাধ্যমের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে ইনু বলেন, দেশে বর্তমানে দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক, ত্রৈমাসিক ও ষান্মাষিক পত্রিকার সংখ্যা ২৮১০। এ ছাড়া ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের সংখ্যা ও পরিসর বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। বহুমুখী গণমাধ্যম দেশের অবাধ ও স্বাধীন গণমাধ্যমের আরেক প্রতিফলন।
এ সময় মন্ত্রী জানান, গণমাধ্যমগুলো নতুন প্রজন্মকে উজ্জীবিত ও সচেতন করে দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং আর্থ-সামাজিক অবস্থাকে উন্নত করতে ভূমিকা রাখছে। তার পাশাপাশি গণমাধ্যম নতুন প্রজন্মকে জাতীয় দায়িত্ব ও মূল্যবোধের শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলছে।
সানবিডি/ঢাকা/রাআ