২০১৯-২০ অর্থবছরে স্বর্ণের আমদানি শুল্ক বাড়িয়েছে ভারত
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৯-০৭-০৭ ১৬:২৩:৫০
নতুন ২০১৯-২০ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ঘোষণা করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। প্রস্তাবিত বাজেটে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে স্বর্ণ আমদানিতে বিদ্যমান শুল্কহার বাড়িয়ে ১২ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত করার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। এর ফলে ভারতের বাজারে স্বর্ণ আমদানিতে ব্যয় বর্তমানের তুলনায় বাড়তে পারে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। এর জের ধরে দেশটিতে চাঙ্গা হয়ে উঠতে পারে মূল্যবান ধাতুটির দামও। খবর ইকোনমিক টাইমস ও বিজনেস রেকর্ডার।
২০১৯-২০ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট বক্তৃতায় নির্মলা সীতারমণ জানান, আগে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে স্বর্ণ আমদানিতে ভারতীয় আমদানিকারকদের ১০ শতাংশ হারে শুল্ক দিতে হতো। প্রস্তাবিত বাজেটে বিদ্যমান শুল্কহার বাড়িয়ে সাড়ে ১২ শতাংশে উন্নীত করার কথা বলা হয়েছে। তাই এবারের বাজেট পাস হলে স্বর্ণ আমদানিতে ভারতীয় আমদানিকারকদের বাড়তি ২ দশমিক ৫ শতাংশ হারে শুল্ক গুনতে হবে।
অল ইন্ডিয়া জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি ডমেস্টিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অনন্ত পদ্মনভন জানান, আগে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে স্বর্ণ আমদানিতে ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক ও ৩ শতাংশ হারে জিএসটি দিতে হতো। সব মিলিয়ে শুল্কহার ছিল ১৩ শতাংশ। এখন জাতীয় বাজেটে মূল্যবান ধাতুটির আমদানি শুল্ক ১২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রস্তাব করায় জিএসটিসহ সম্মিলিত শুল্কহার ১৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের তুলনামূলক বাড়তি দামের কারণে ভারতে মূল্যবান ধাতুটির ব্যবহার সীমিত হয়ে পড়েছে। এখন নতুন শুল্কহারের ফলে ভারতীয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন। এটা কাঙ্ক্ষিত নয়। এ পরিস্থিতি স্বর্ণ চোরাচালানকে উৎসাহিত করতে পারে।
উল্লেখ্য, ভারত স্বর্ণের দ্বিতীয় শীর্ষ ভোক্তা দেশ। দেশটিতে প্রতি বছর ৮০০-৮৫০ টন স্বর্ণ ব্যবহার হয়। এর মধ্যে ১০০-১২০ টনই চোরাই পথে ভারতে প্রবেশ করে।
ইন্ডিয়া বুলিয়ন অ্যান্ড জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশনের (আইবিজেএ) ন্যাশনাল সেক্রেটারি সুরেন্দ্র মেহতা বলেন, স্বর্ণের আমদানি শুল্ক বাড়ানো হলে তা সংশ্লিষ্ট শিল্পের জন্য চ্যালেঞ্জের জন্ম দেবে। এ সিদ্ধান্ত ভারতের বাজারে চোরাই পথে আসা স্বর্ণে সয়লাব হয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, এ কারণে আমরা এ শুল্ক বৃদ্ধির পক্ষে নই। তার (অর্থমন্ত্রীর) কাছে আমাদের দাবি, স্বর্ণের আমদানি শুল্কহার ১০ থেকে কমিয়ে ৮ শতাংশে নামিয়ে আনুন। আর কোনো কারণে তা সম্ভব না হলে বিদ্যমান শুল্কহারই অপরিবর্তিত রাখুন। কোনোভাবেই তা বাড়িয়ে সাড়ে ১২ শতাংশে উন্নীত করবেন না।