প্রায় ৭ হাজার ৭৪৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এর মধ্যে সরকার দেবে প্রায় ৬ হাজার ৪১৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন প্রায় ১৮৯ কোটি ৬ লাখ এবং বিদেশি ঋণ প্রায় ১ হাজার ১৪০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারম্যান শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে নতুন (২০১৯-২০) অর্থবছরের প্রথম একনেক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।

অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো- সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রকল্প যথাক্রমে ‘বগুড়া (জাহাঙ্গীরাবাদ)-নাটোর জাতীয় মহাসড়কের (এন-৫০২) যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্প, ‘ঢাকা (মিরপুর)-উথুলী-পাটুরিয়া জাতীয় মহাসড়কের (এন-৫) নবীনগর থেকে নয়ারহাট ও পাটুরিয়া ঘাট এলাকা প্রশস্তকরণসহ আমিনবাজার থেকে পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড এলাকা ডেডিকেটেড লেনসহ সার্ভিস লেন ও বাস-বে নির্মাণ’ প্রকল্প এবং ‘লাকসাম (বিনয়ঘর)-বাইয়ারা বাজার-ওমরগঞ্জ-নাঙ্গলকোট জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্প।

স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘মর্ডানাইজেশন অব সিটি স্ট্রিট লাইট সিস্টেম অ্যাট ডিফারেন্ট এরিয়া আন্ডার চিটাগং সিটি কর্পোরেশন’ প্রকল্প, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ‘বাংলাদেশ ডাক বিভাগের অধীন জরাজীর্ণ ডাকঘরগুলো সংস্কার/পুনর্বাসন (দ্বিতীয় পর্যায়)’ প্রকল্প, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ‘কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর আধুনিকায়ন ও শক্তিশালীকরণ এবং ১৩টি জেলা কার্যালয় স্থাপন’ প্রকল্প, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘বিএডিসির বিদ্যমান সার গুদামগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ, পুনর্বাসন এবং নতুন গুদাম নির্মাণের মাধ্যমে মেঘনা নদীর ভাঙন থেকে ভোলা জেলার তজুমুদ্দিন উপজেলা সদর সংরক্ষণ’ প্রকল্প।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, কক্সবাজারের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ (দ্বিতীয় পর্যায়)’ প্রকল্প, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৯টি ব্রিজ নির্মাণ’ প্রকল্প, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প যথাক্রমে ‘বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প, সিলেট বিভাগ (প্রথম সংশোধন)’ প্রকল্প এবং ‘চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্প।

এ ছাড়া বস্ত্র ও পাট মন্ত্রাণালয়ের ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব থ্রি হ্যান্ডলুম সার্ভিস সেন্টারস ইন ডিফারেন্ট লুম ইনটেনসিভ এরিয়া (দ্বিতীয় সংশোধন)’ প্রকেল্পর ব্যয় না বাড়িয়ে মেয়াদ বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে একনেক।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।