২০১৮-১৯ অর্থবছর শেষে গড় মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ। একই সময়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল শতকরা ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ। অর্থাৎ গত অর্থবছরের মূল্যস্ফীতি কম ছিল।
গত মে মাসের তুলনায় জুনেও মূল্যস্ফীতির কমেছে। গত জুনে মূল্যস্ফীতির পরিমাণ ছিল ৫ দশমিক ৫২ শতাংশ। যেখানে মে মাসে ছিল ৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ। অর্থাৎ কমেছে। একই সময় ২০১৮ সালের জুনে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এবার গত বছরের জুন মাসের তুলনায়ও মূল্যস্ফীতি কমেছে।
মঙ্গলবার ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় শেষে এসব তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
মূল্যস্ফীতির হ্রাস-বৃদ্ধি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, চাল, ডাল, শাক-সবজি মূল্য জুন মাসে কমেছে।
এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বাজারে যত চালের চাহিদা আছে, তার চেয়ে প্রচুর চাল মজুদ আছে। বাজারে যত পেঁয়াজের চাহিদা, তার চেয়ে বেশি পেঁয়াজ মজুদ আছে। তার মানে আমাদের অর্থনীতি এখন উৎপাদন বেশি করছে। বাজারে সাপ্লাই আছে। সোজা কথা হলো- মাল বেশি বাজারে, তাই দাম কম।’
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গ্রামীণ পর্যায়ে মূল্যস্ফীতি হয়েছে শতকরা ৫ দশমিক ৩৮ ভাগ, যা গত মে’তে ছিল শতকরা ৫ দশমিক ৪৪ ভাগ। অর্থাৎ কমেছে। জুনে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত উপ-খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে যথাক্রমে ৫ দশমিক ৫৮ ও ৫ দশমিক ০১ ভাগ, যা মে ২০১৯-এ ছিল যথাক্রমে শতকরা ৫ দশমিক ৬৭ ও ৫ দশমিক ০১ ভাগ।
শহর পর্যায়ে জুনে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৭৮ ভাগ, যা মে মাসে ছিল ৫ দশমিক ৯৬ ভাগ। জুনে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত উপ-খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে যথাক্রমে ৫ দশমিক ০১ ও ৬ দশমিক ৬৪ ভাগ, যা মে মাসে ছিল ৫ দশমিক ০৯ ও ৬ দশমিক ৯৫ ভাগ।