ব্রিটেনে অন্যান্য দেশের মানুষদের তুলনায় বাংলাদেশীরা সবচেয়ে কম বেতন পান । যে কোনো শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশ নাগরিকের তুলনায় বাংলাদেশি কর্মীরা ঘণ্টা হিসেবে অন্তত ২০ শতাংশ কম টাকা পান। এ বৈষম্য আবার লন্ডনে বেশি। দেশটিতে কর্মরত বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষের মধ্যেকার মজুরির বৈষম্যের বিষয়টি উঠে এসেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়। ব্রিটেনের জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস (ওএনএস) এ জরিপ চালিয়েছে। খবর গার্ডিয়ানের।
সেখানকার মজুরি-সংক্রান্ত তথ্য বিশ্নেষণ করে ওএনএসের জরিপে বলা হয়, লন্ডনে বসবাসরত বাসিন্দাদের জাতি-বর্ণের ভিত্তিতে সবচেয়ে বেশি ভাগে বিভক্ত করা হয়। এমন শ্রেণিকরণের ভিত্তিতে শ্বেতাঙ্গ বাসিন্দাদের সঙ্গে সংখ্যালঘু বাসিন্দাদের মজুরির ব্যবধান ২১ দশমিক ৭ শতাংশ। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০১৮ সালে ব্রিটেনের শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশ নাগরিক ঘণ্টায় গড়ে ১২ দশমিক ০৩ পাউন্ড মজুরি পেয়েছেন। একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ পেয়েছেন ৯ দশমিক ৬ পাউন্ড। সে তুলনায় একজন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশও বাংলাদেশির চেয়ে বেশি মজুরি পান। একজন পাকিস্তানি গড়ে ঘণ্টায় মজুরি পান ১০ পাউন্ড।
বিভিন্ন জায়গায় কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও পাকিস্তানিরা এগিয়ে। ব্রিটেনে বসবাসরত পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত জনগোষ্ঠীর ৫৮ দশমিক ২ শতাংশ কাজের সুযোগ পেয়েছেন। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশিরা পেয়েছেন ৫৪ দশমিক ৯ শতাংশ।
ওএনএস জানায়, শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশদের চেয়ে অনেক ক্ষেত্রে ভারতীয় ও চীনা বংশোদ্ভূতরা বেশি মজুরি পেয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে চীনারা একজন ব্রিটিশ শ্বেতাঙ্গ কর্মীর চেয়ে মোটামুটি ৩০ শতাংশ বেশি বেতন পান। অন্যদিকে কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান, ক্যারিবিয়ান কিংবা একজন কৃষ্ণাঙ্গ ব্রিটিশও মজুরি বৈষম্যের শিকার। এদের সবার মজুরি ঘণ্টায় ৯ পাউন্ডের কম।