রাইড শেয়ারিংয়ের লাইসেন্স সংখ্যা এখন ছয়। উবার এখন পর্যন্ত আবেদন না করলেও এবার পাঠাও এবং ওভাইসহ আরও পাঁচ কোম্পানি অনুমোদন পেয়েছে।
আগের সপ্তাহে পিকমি’র পর এবার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) নতুন করে অনুমোদন দিয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানকে। তবে এগুলোর মধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠান এখনও সেবা চালু করেনি।তালিকায় থাকা পাঠাও এবং ওভাই বেশ পরিচিত। তবে ই-কমার্সে গ্রসারি ব্যবসার জন্য পরিচিত হলেও চালডাল লিমিডেটও রাইডিং শেয়ারিং ব্যবসার অনুমোদন নিয়েছে।অন্যদিকে অল্প পরিচিত ইজিয়ার টেকনোলাজি এবং একেবারেই অচেনা কম্পিউটার সিস্টেমসের নামও আছে লাইসেন্স পাওয়ার তালিকায়।
এর আগে গত সপ্তাহে রাইড শেয়ারিংয়ে দেশের প্রথম লাইসেন্স পায় স্থানীয় রাইড শেয়ারিং কোম্পানি পিকমি।পিকমি’র মতো অনলাইনে পাওয়া এ অনুমোদনের সঙ্গে চালক ও তাদের বাহন নিবন্ধনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে সব কোম্পানিকে।লাইসেন্স পাওয়া ছয় কোম্পানি ছাড়াও বিআরটিএর কাছে আরও চারটি আবেদন জমা রয়েছে।
এর মধ্যে বেশ পরিচিত সহজ রয়েছে। বাকি তিনটি একেবারেই নতুন- আকাশ টেকনোলাজি, সিগেস্তা ও প্রবাহন।অবাক করা তথ্য হলো এখন পর্যন্ত উবারের কোনো আবেদন পায়নি বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ।
২০১৬ সালে দেশে প্রথম রাইড শেয়ারিং শুরু হলেও উবার রাস্তায় নামার পরই বিআরটিএ দেশে এমন সেবার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।
সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়েও রাইড শেয়ারিংকে অবৈধ ঘোষণা করে বন্ধের নির্দেশনা দেয় সংস্থাটি। তবে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপে তাদের অবস্থান পরিবর্তন হয়।এরপর এ সেবা চালাতে নীতিমালা করা হয়। তখন ১৬ কোম্পানি লাইসেন্স পেতে আবেদন করে। ওই নীতিমালায় কিছু জটিলতা থাকায় পুরো লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া আটকে ছিল।প্রথম নীতিমালায় একজন চালককে শুধু একটি কোম্পানির নেটওয়ার্কে নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া হয়। সব রাইড শেয়ারিং কোম্পানি এর বিরোধীতা করে। এতে করে নীতিমালার এই অংশে পরিবর্তন আসে।তা ছাড়া নতুন নীতিমালায় নিবন্ধনের প্রক্রিয়াও ডিজিটাল করা হয়। এতে করে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে করা আগের সব আবেদন বাতিল হয়ে যায়। পরে আগ্রহী প্রতিষ্ঠান নতুন করে অনলাইনে আবেদন করে।